মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কয়েল কারাখানার এক নারী শ্রমিককে গণধর্ষণের ঘটনায় ছয় যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ ওইদিন রাতেই ছয় ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।
গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ফকিরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি মশার কয়েল কারখানায় তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে কাজ করতেন।
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম ফতুল্লা মডেল থানায় প্রেসব্রিফিং করেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো চাঁদপুর জেলার মতলবের মুক্তারকান্দি এলাকার মো. সিরাজের ছেলে রাসেল (৩৮), নেত্রকোণা জেলার কালিয়াজুড়ির মৃত রুকু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (২৩), মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (২২), ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের বিরামপুরের মো. ফরিদের ছেলে সুমন (২২), একই জেলার কেন্দুয়ার হাদিছুর রহমানের ছেলে মো. রবিন (২৩), শরীয়তপুর জেলার জাজিরার আব্দুল লতিফের ছেলে মো. আল আমিন(২১)। তারা প্রত্যেকেই ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় বিভিন্ন ভাড়া বাসায় থাকে এবং এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
এসপি মনিরুল ইসলাম জানান, সোমবার সন্ধ্যায় চাচাতো ভাইয়ের সাথে বাড়ি ফেরার পথে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর বটতলা এলাকায় তাদের গতিরোধ করে আসামীরা। পরে চাচাতো ভাইকে মারধর করে তিনহাজার চারশ টাকা লুটে নিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী একটি টংয়ের দোকানে নিয়ে কিশোরীর মোবাইল ভেঙে ও ছুরির ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় কিশোরী বাঁধা দিলে তাকেও মারধর করে আসামিরা। পরে ভুক্তভোগী ও তার চাচাতো ভাইকে একটি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়। এ ঘটনা ভুক্তভোগী কিশোরী ওই রাতেই থানায় এসে জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে। ভুক্তভোগী কিশোরীকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিচ্ছে।