বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান -মহিউদ্দিন মহারাজ এমপি কাউখালীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন কাউখালীতে মৎস্য সুফলভোগী জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরন ভান্ডারিয়ায় বিহারী লালমিত্র পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কাউটদের দীক্ষা অনুষ্ঠান ভান্ডারিয়ায় পিকআপে করে গরু চুরির সময় ৩ চোর আটক কাউখালী উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ে জনবল সংকট থাকার কারণে জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত স্বামী ১৪ বছর পর গ্রেপ্তার পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আবারো ৩ জন নিহত পিরোজপুরের এক জেলের জালে ধরা পড়ল ২০ লাখ টাকার লাক্ষা মাছ কাউখালীতে বঙ্গবন্ধুর ১০৪ তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত ভান্ডারিয়ায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত পিরোজপুরে বাস অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৭ জন নিহত কাউখালীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উদযাপিত কাউখালীতে মৎস্য কার্ডধারী জেলেদের ছাগল বিতরণ ভান্ডারিয়ায় স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত ভান্ডারিয়ায় জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান রাষ্ট্রীয় সম্মান নিয়ে কাউখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের শেষ বিদায় কাউখালীতে ব্রীজ নির্মান কাজ ৫ বছরে শেষ না হওয়ায় জনগনের ভোগান্তি চরমে কাউখালীতে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার একটি অংশ–মহিউদ্দিন মহারাজ (এমপি)
ক্ষমা করিবেন মানিক মিয়া- আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

ক্ষমা করিবেন মানিক মিয়া- আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

আপনার প্রতিষ্ঠিত দৈনিক ইত্তেফাক নানারূপ ঝড়-ঝঞ্ঝা-প্রতিকূলতা এবং আনন্দ সফলতায় বিগত ৬৬ বৎসর পার করিয়া আজ ৬৭ বৎসরে প্রবেশ করিল। দেশের এই ঐতিহ্যবাহী পত্রিকাটির যাত্রা শুরু হইয়াছিল আপনার হাতে এক গভীর রাজনৈতিক মতাদর্শকে ধারণ করিয়া। একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য লইয়া ইত্তেফাক যাত্রা শুরু করিয়াছিল। ইত্তেফাক ছিল একটি রাজনৈতিক দলের মুখপত্র। সেই সময় ইত্তেফাকের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়াইয়াছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া। আপনারা ছিলেন একই সূত্রে গাঁথা। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অবদানও ছিল অনস্বীকার্য।

রাজনৈতিক উদ্দেশে, রাজনীতির জন্য ইত্তেফাকের সঙ্গে কর্মী-সহযোগী যাহারাই ছিলেন, তাহাদেরও ছিল একই রাজনৈতিক লক্ষ্য। পিছনের বৎসরে ভাষা আন্দোলনের রক্ত এবং সামনে পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের নির্বাচন রাখিয়া ১৯৫৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করিয়াছিলেন। শুরু হইতেই বৈরী ভাবাপন্ন অত্যাচারী পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইত্তেফাকের কণ্ঠ ছিল সোচ্চার।

কারাগারে প্রেরণ, দমন-পীড়ন সব ধরনের ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করিয়া আপনি দৈনিক ইত্তেফাককে এবং ইত্তেফাকের ভাষ্যকে আপামর মানুষের দ্বারে পৌঁছাইয়া দিয়াছিলেন। দিশাহীন জাতিকে দিকনির্দেশনা দিতে দৈনিক ইত্তেফাক যে ভূমিকা রাখিয়াছে তাহা শুধু এই দেশেরই নয়, বিশ্বের সংবাদপত্রের ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত। ইহা আজ গর্বের সঙ্গে উচ্চারণ করা যায় যে গোটা ষাটের দশকের উত্তর সময় দৈনিক ইত্তেফাকের যে ভূমিকা ছিল তাহা বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধকে সহায়তা করিয়াছিল। সুতরাং ইত্তেফাক কেবল একটি দৈনিক পত্রিকাই ছিল না, বরং ইহা ছিল গণতান্ত্রিক চেতনাকে উজ্জীবিত করিবার একটি প্রতিষ্ঠান।

তখন একটি রাজনৈতিক আদর্শ আপনার সম্মুখে ছিল। আপনি যাহাদের সঙ্গে রাজনীতি করিতেন, সম্মুখ হইতে হউক আর পিছন হইতে হউক, যাহাদেরকে আপনি প্রেরণা যোগাইয়াছেন এবং আপনি যাহাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হইয়াছেন তাহারা কেহই এখন আর জীবিত নাই। আপনিও আমাদের মাঝে নাই। ইহার মধ্যে স্বাধীন হইয়াছে বাংলাদেশ। অতঃপর আপনার অনুপস্থিতিতে আমরা চেষ্টা করিয়া গিয়াছি। কিন্তু এখন বাস্তব চিত্র পালটাইয়াছে অনেক। প্রতিনিয়তই আপনার প্রতিষ্ঠাকালীন চিন্তা ও মতাদর্শকে ধরিয়া রাখিতে আমাদের বেগ পাইতে হইতেছে। বহু বাস্তবতা আপনার আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হইয়া আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হইতেছে।

আরও পড়ুন: ৬৭ বছরে ইত্তেফাক, ঐতিহ্যের পথ ধরে তারুণ্যের আলোয়

বর্তমানে সংবাদপত্র হইয়াছে শিল্প। এই শিল্প এখন রাজনৈতিক চেতনার পরিবর্তে আমাদের ব্যবসায়ী প্রতিযোগিতার কথা বলে, ব্যবসায়ী প্রতিযোগিতার শিক্ষা দেয়। ফলে আমরা সর্বদা আপনার আদর্শকে ধারণ করিতে পারিয়াছি, তাহা নিশ্চিত করিয়া বলিতে পারিব না। যাহা পারিয়াছি তাহা আপনারই রাখিয়া যাওয়া স্পৃহার ফল, আর যাহা পারি নাই, তাহার জন্য আপনার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করা ছাড়া কোনো গত্যন্তর নাই।

তাহার পরও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকিবে। এতকিছুর পরও আমরা হতাশ নহি। এই বৈরী অবস্থা থাকিবে না বলিয়া আমরা বিশ্বাস রাখি। দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পালটাইতেছে। আমরাও সেই পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে চেষ্টা চালাইয়া যাইব আপনার আদর্শ ও চেতনায় উজ্জীবিত থাকিতে। কবির ভাষায় বলিতে হয়, ‘তোমার তারায় মোর আশাদীপ রাখিব জ্বালি/ তোমার কুসুমে আমার বাসনা দিব গো ঢালি’।
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana