মঙ্গলবার, ০৬ Jun ২০২৩, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ১৩বছর বয়সের এক স্কুল ছাত্রীকে বাড়ি থেকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ওই ছাত্রী উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ডিসেম্বর) সকালে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ছাত্রী ও তার পরিবারের স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে,ওই ছাত্রীর সঙ্গে বাউফল উপজেলার সূর্য্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রুকুল গ্রামের আবদুর রব মিয়ার ছেলে মিরাজ হোসেনের (২২) মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। মোবাইলে কথাবলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক । ওই প্রেমের সম্পর্কের সুবাধে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে মিরাজ ওই ছাত্রীটিকে শীতের পোশাক কিনে দেওয়ার জন্য মুঠোফোনে কল করে বাড়ি থেকে নুরাইনপুর বাজারে নিয়ে যায়। নুরাইনপুর বাজারে গেলে মিরাজ ওই ছাত্রীটিকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর (মিরাজের) মাকে দেখানোর উদ্দেশ্যে অটোরিকশায় করে ইন্দ্রুকুল গ্রামের তাঁর বাড়ি নিয়ে যায়। বাড়িতে অন্য কোনো ঘর নেই। বাড়ি গিয়ে ছাত্রী বুঝতে পারে মিরাজের মা বাড়ি নেই। ছাত্রীটি চলে আসতে চাইলে সময় ক্ষেপন করে ওই ঘরে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করে। রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় ছাত্রীটির স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে তাঁরা জানতে পারেন ওই ছাত্রীটিকে মিরাজ আটকে রেখেছে। পরে বুধবার রাতে ওই ছাত্রীকে তার ভগ্নিপতি উদ্ধার করে বাউফল থানায় নিয়ে আসে।
ধর্ষিত ওই ছাত্রী বলে,“মিরাজ আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। আমি এর বিচার চাই।”
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত মিরাজকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মিরাজকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। আর ওই ছাত্রী কে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’