সুমন খান,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বানারীপাড়ায় ৫০ বছরের এক বৃদ্ধাকে লাঠি,সোটা দিয়ে পিটিয়ে ও পায়ে পিষে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের মসজিদ বাড়ির তালাপ্রসাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত বুধবার এলাকার গাছ ব্যবসায়ী মোঃ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা বেগমকে একই এলাকার আলম আকনের ছেলে স্বপন আকন, রিপন আকন, মেয়ে ফাতেমা বেগম ও রিপন আকনের স্ত্রী সালমা বেগম বেদরক পিটিয়ে ও পায়ে পিশে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে জাহানারা বেগম বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। আহত জাহানারা জানায়, আলম আকনের বাড়িতে পিয়ারা বেগম কাজ করে। আলম আকন ও পিয়ারা বেগমের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে মর্মে কিছু কথা চাউর হওয়ায় আমির হোসেন তার স্ত্রীকে ঐ বাড়িতে কাজ করতে নিষেধ করে। তার কথা মত জাহানারা বেগম পিয়ারাকে বলে আলম আকন আমার ভাসুর, সে পাচ ওয়াক্ত নামাজ পরে। তার পর ও যখন তোমার স্বামী চায়না তুমি ঐ বাসায় কাজ করো তাহলে তুমি আর কাজ করো না। এরআ জের ধরে গত বুধবার আলম আকনের ছেলে স্বপন দুপুর ২.৩০ এর দিকে আমাদের বাসায় এসে আমাকে ডেকে কথা শুনতে বললে আমার আলতা যাবার তাড়া থাকায় আমি সন্ধ্যায় তার কথা শুনবো বললে স্বপন কিছুক্ষনের জন্য চলে গিয়ে আবার সাথে আমির হোসেন ও পিয়ারা বেগমকে সাথে নিয়ে এসে আমাকে উঠানে বের হতে বললে আমি সরল বিশ্বাসে বের হলে আমার কাছে তার বাবার নামে পিয়ারাকে জড়িয়ে অনৈতিক কথার বিষয়ে জানতে চাইলে আমি স্বপনকে বিস্তারিত বলতে গেলে তার বোন ফাতেমা আমাকে গালাগাল শুরু করলে আমি ঘরে রওনা দেই। তখন স্বপন পিছন থেকে আমার চুলের গোছা ধরে টেনে হেচড়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এর পর রিপন ও তার স্ত্রী সালমা এসে ডাল দিয়ে এলোপাথারী আঘাত করে আর স্বপন ও তার বোন মিলে আমাকে পা দিয়ে লাথি মারতে থাকলে আমির হোসেন ও পিয়ারা ছাড়ানোর চেষ্ঠা করে। আমির হোসেন কে চর থাপ্পর মারলে আমির হোসের দৌড়ে পালিয়ে যায়। আহত জাহানারাকে নিয়ে ভ্যানে করে বানারীপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে স্বপনের চাচা বাবুল গাড়ি থামিয়ে বানারীপাড়া আসতে বারন করে। বারন উপেক্ষা করে চিকিৎসা নিতে বানারীপাড়া আসতে চাইলে বাবুল এলোপাথারী চড় থাপ্পর মারে এবং পিয়ারা বেগমকে টেনে হেচড়ে ভ্যান থেকে নামিয়ে রাখে। এর কিছুক্ষন পর শহিদুল ইসলাম এসে তাকে বানারীপাড়া স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে নিয়ে আসে। প্রতিপক্ষের সালমা বেগম বানারীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সালমা বেগমের কাছে এ বিষয় কিংবা তার স্বামী রিপন আকন কিংবা দেবরদের সাথে কথা বলতে চাইলে তাদের কারো নাম্বার নেই বলে কোন বক্তব্য না দিয়ে এড়িয়ে যান।