বঙ্গবন্ধু বিপিএলের তিন দিনব্যাপী সিলেট পর্বের শেষ দিনে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করলো চট্টগ্রাম। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয়ে চলতি আসরের প্রথম দেখায় হারের প্রতিশোধ নিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট চট্টগ্রামের। এক ম্যাচ কম খেলা খুলনার সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট।

খুলনার করা ১২১ রান ৯ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায় চট্টগ্রাম। দুই ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী ৩৮ ও লেন্ডল সিমন্স ৩৬ রানে ফেরার পর আসেলা গুণারত্নে ও চাদউইক ওয়ালটন দুই অঙ্ক ছুঁতে ব্যর্থ হন। ম্যাচে এর প্রভাব পড়তে দেননি তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। দুই ছক্কা ও দুই বাউন্ডারিতে ২৭ বলে ৩০ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ৩২ বছর বয়সী এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।

দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে খুলনা টাইগার্স। প্রথমবার বিপিএল খেলতে এসে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান হাশিম আমলার।

মাত্র ৮ রানে পেসার মেহেদী হাসান রানার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। আমলার আগে মেহেদী মিরাজকে ফিরিয়ে চট্টগ্রামকে দারুণ শুরু এনে দেন বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক মেহেদী রানা। ১৭ উইকেট নিয়ে সবার উপরে চট্টগ্রামের পেসার।

তিনে নামা শামসুর রহমান কোন রান না করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। দলের রান তখন ১৪। রাইলি রুশো অধিনায়ক মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। ৪৯ রানের জুটি গড়ার পর ২৪ বলে ২৯ রান করে জিয়াউর রহমানের বলে বোল্ড হন খুলনা অধিনায়ক। একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকা রাইলি রুশোকে ৪৮ রানে ফেরান কেসরিক উইলিয়ামস। পরের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ১৯.৫ ওভারে ১২১ রানে থামে খুলনার ইনিংস। চট্টগ্রামের দুই পেসার রুবেল হোসেন ও মেহেদী হাসান রানা ৩টি করে উইকেট নেন। কেসরিক উইলিয়ামসের শিকার ২ উইকেট।