বুধবার, ২৯ Jun ২০২২, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
ভুক্তভোগী হামিম ফরাজি ওই উপজেলার পশ্চিম বালিপাড়ার মো. আলমগীরের ছেলে। সে পশ্চিম বালিপাড়া বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
হামিমের বাবা জানান, ২০ দিন আগে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় পড়ে গিয়ে হাতে ব্যথা পায় হামিম। পরে তাকে স্থানীয় কবিরাজ আলী আকাব্বর সরদারের কাছে নেয়া হয়। হাতে পচন ধরলে তাকে হাড় ভাঙ্গা চিকিৎসক রফিকুল ইসলামের কাছে নেয়া হয়। তিনি হামিমকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। সেখানে তার ডান হাত কেটে ফেলা হয়।
হাসপাতালে উপস্থিত হামিমের বড় বোন রোকসানা জানান, আমার ভাই এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।
অভিযুক্ত কবিরাজ আলী আকাব্বর সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বালিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বয়াতি জানান, কবিরাজ আলী আকাব্বরের ভুল চিকিৎসায় স্কুলছাত্র হামিমের হাতে পচন ধরেছে।
পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. হাসিবুজ্জামান বলেন, হামিমের অবস্থা গুরুতর ছিল না। শুধু জয়েন্ট থেকে হাড়টি সরে গিয়েছিল। হাড়টা সঠিক জায়গায় এনে প্লাস্টার করে দিলেই হতো। ওই কবিরাজের কারণে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত পচন ধরেছে। হাত না কেটে আমাদের কোনো উপায় ছিল না।
তিনি আরো বলেন, পল্লী চিকিৎসক, কবিরাজ পদবী ব্যবহার করে কিছু হাতুড়ে ডাক্তার চিকিৎসার নামে মানুষের ক্ষতি করছেন। তারা শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া স্বাস্থ্য নীতিমালা ভঙ্গ করে গ্রামের মানুষদের ঠকাচ্ছেন।
সুত্র ডেইলি বাংলাদেশ