রবিবার, ২৬ Jun ২০২২, ১০:৪৭ অপরাহ্ন
২৬ ডিসেম্বর তিনি নিখোঁজ হন। ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে ঘাটাইল উপজেলার সংগ্রামপুর ইউপির বগা গ্রামে হাবিবুল্লাহর মরদেহ পাওয়া যায়। ছেলের মরদেহ পাওয়ার পর ওইদিন রাতেই অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন আবু জাফর স্বপন।
বুধবার দুপুরে ঘাটাইল থানার এসআই শাহিন মিয়া এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তের পর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত হাবিুল্লাহর স্ত্রী ছবুরা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
৫ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে শ্বশুরের সঙ্গে পরকীয়া এবং তাতে বাধা দেয়ায় স্বামীকে খুনের পরিকল্পনার বিষয়টি স্বীকার করেন ছবুরা। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ৬ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয় আবু জাফর স্বপনকে।
আদালতে ছবুরার দেয়া জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, বাবা ও স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হাবিবুল্লাহ পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন। আটমাস আগে কালিহাতী উপজেলার ছবুরাকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শ্বশুরের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ছবুরা। তাদের আচরণ ও কার্যকলাপে সন্দেহ হয় হাবিবুল্লাহর। এমতাবস্থায় একদিন বাবার সঙ্গে নিজের স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি।
এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী ছবুরা ও বাবার সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয় হাবিবুল্লাহর। একপর্যায়ে ছেলেকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন আবু জাফর। তাতে সম্মতি দেয় ছবুরা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৬ ডিসেম্বর তাদের ভাড়া করা খুনিরা হাবিবুল্লাহকে অপহরণ করে। ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে ঘাটাইল উপজেলার সংগ্রামপুর ইউপির বগা গ্রামের একটি বাড়ির পাশে একচোখ উপড়ে ফেলা অবস্থায় হাবিবুল্লাহর মরদেহ পাওয়া যায়। তবে আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে খুনিদের পরিচয় বলতে পারেনি ছবুরা।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঘাটাইল থানার এসআই শাহিন মিয়া।
সুত্র ডেইলি বাংলাদেশ