নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পলিথিন দিয়ে ছাপড়া ঘরে ৬জনে থাকতাম। বর্ষা ও শীত মৌসুমে ঠিকমত ঘুমাতে পারতাম না।বৃষ্টি ও কুয়াশা বেশী হলে শরীরে পানি পড়ত। খুব কষ্ট হত। কখনও ভাবতে পারিনি টিনের ঘরে থাকব। উপজেলা চেয়ারম্যান সাব ঘর করে দিয়েছেন। এখন সেখানে একটু শান্তিতে থাকতে পারব। যে আমাকে শান্তিতে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে, তাকেও আল্লাহ শান্তিতে রাখবে। এই বলে চুপ করে ছিলেন বকুলি বেগম। ছিলো চোখের কোন পানি। পাশে থাকা বকুলীর মেয়ে রুপার চোখ বেয়ে পানি পড়ছিল, আবেগ আল্পুত হয়ে পরে পরিবারটি। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মিরাজুল ইসলাম এর ব্যক্তিগত অর্থায়নে নির্মিত ঘরে (টিনের ঘর) বসে মঙ্গলবার সকালে এসব কথা বলছিলেন ভান্ডারিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বকুলী বেগম।
ভান্ডারিয়া উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেনের প্রচেষ্টায় বিষয়টি ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মিরাজুল ইসলামের নজরে আসে । বকুলির মেয়ে বলেন, আমাদের ঘরের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। বৃদ্ধ মাকে নিয়ে থাকতে খুব কষ্ট হত। রোদ, ঝড়, বৃষ্টিতে মাঝে মাঝেই মা অসুস্থ্য হয়ে যেত। চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের একটি ঘর করে দিয়েছে। এখন এখানে শান্তিতে থাকতে পারব।
মোঃ আফজাল হোসেন বলেন আমি মানবিকতার তাগিদে ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মিরাজুল ইসলাম এর নিকট বিষয়টি উপস্থাপন করিলে তিনি তাৎক্ষনিক বকুলি বেগমের বাড়ী পরিদর্শন পূর্বক প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহনের নিদের্শ দেন।