বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার।এ ব্যাপারে, শিশুটির মা বাদী হয়ে বুধবার সকালে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে, মঙ্গলবার রাতেই প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দর্জি আবুল খায়েরকে (৪৫) আটক করে পুলিশ। শিশুটিকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বজনরা জানান, শিশুটি রাজগঞ্জ ইউনিয়নের তেতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। জামার মাপ দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার দুপুরের পরে কালিরহাট বাজারে আবুল খায়েরের দর্জি দোকানে যায় সে। এসময়, শিশুটিকে একা পেয়ে দোকানের পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করে আবুল খায়ের এবং শিশুটিকে পাঁচশত টাকা দিয়ে এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে রাতেই কালিরহাট বাজার থেকে অভিযুক্ত দর্জি আবুল খায়েরকে আটক করে পুলিশ। সে কৃষ্ণরামপুর গ্রামের হোসেনুজ্জামানের ছেলে।
এদিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চকলেটের লোভ দেখিয়ে জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চর হাছান গ্রামে মঙ্গলবার ধর্ষণের শিকার ১১ বছরের প্রতিবন্ধী শিশুটি এখন আশংকামুক্ত। বুধবার সকালে, শিশুটির অস্ত্রপ্রচার সম্পন্ন হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ ও শ্বাসকষ্টের কারণে জরুরী হলেও গতকাল মঙ্গলবার তার অস্ত্রপ্রচার করা সম্ভব হয়নি।
এঘটনায়, মঙ্গলবার রাতে চর জব্বর থানায় শিশুটির মা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা করে। তবে, এ মামলায় অভিযুক্ত শিশুটির চাচাতো ভাই রাকিব এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত রাকিবকে আটক করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে এবং গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সুত্র প্রতিদিনের চিত্র