শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ও সোনাকাটা ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে তালতলী খাল। সওদাগর পাড়া ও কবিরাজ পাড়া বাজারের মাঝে অবস্থিত ব্রিজটি দুই ইউনিয়নের একমাত্র সংযোগস্থল। দুই ইউপির মানুষের যোগাযোগের সুবিদার জন্য ১৯৯১-৯২ সালে খালে একটি ব্রিজটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন তৎকালীন (আমতলী ও তালতলী) নিয়ে গঠিত বরগুনা- ৩ আসনের সংসদ সদস্য মরহুম মো. মজিবর রহমান তালুকদার। পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
তখন ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হয়। সেতুটি নির্মাণের ফলে দু’টি ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মানে পরিবর্তন শুরু হয়। কিন্তু চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী কোমলমতি শিশুরা স্কুলে যাওয়ার পথে ব্রিজটির পশ্চিম পার্শ্ব ভেঙে পড়ে। পর্যটন কেন্দ্র টেংরাগিরি ইকোপার্কের সহজ পথ হলো এই ব্রিজটি।
সোনাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ ফরাজি মুঠোফোনে বলেন, বিকল্প পথ (২০ কিলোমিটার) দুরে হওয়ায় এই ব্রিজ দিয়ে নিশান বাড়িয়া প্রাইমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কবিরাজ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কবিরাজ পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কমডেকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লাউপাড়া সাগর সৈকত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তালুকদার পাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তালুকদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিণ খোলা মাদ্রাসাসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার স্থানীয় মানুষ ও পর্যটক চলাচল করে । সময় বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বর্তমানে ব্রিজের ভাঙা অংশ দিয়েই চলাচল করছে। তাই এই এলাকার শিক্ষার্থীসহ সকল মানুষের জন্য ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর মিয়া আলম মুন্সি বলেন, দুই ইউনিয়নের একমাত্র সংযোগ ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে তাই দুই ইউনিয়নের সকলের যোগাযোগের জন্য একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর দির্ঘদিনের । এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মদ আলী বলেন, ব্রিজটি ভেঙে পরার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। আর ব্রিজটির বয়স প্রায় ৩০ বছরের কাছাকাছি হওয়ায় এবং লবনাক্ততার কারণে বেশির ভাগ লোহায় মরিচা ধরে টেম্পার কমে গিয়ে ব্রিজটির পশ্চিম পার্শ্ব ভেঙে পড়েছে।