শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:০২ অপরাহ্ন
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, এবার যাতে রাজধানীবাসীকে মশার উপদ্রব সহ্য করতে না হয় সেজন্য আগে থেকেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ডেঙ্গু জ্বর যখন প্রায় মহামারি আকার ধারণ করেছিল তখন ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী মশা মারার ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছিল। এমনকি ওষুধ আমদানি নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে আগামীতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা মারার ওষুধের মজুত যথেষ্ট আছে।
আজ রবিবার সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবী থেকে মশা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। পৃথিবীর সব জায়গাতেই মশা আছে, বাংলাদেশেও মশা আছে। তবে আমার তো মনে হয় আমরা সবাই এটার জন্য কাজ করছি, আর সারাক্ষণই ফলোআপ করছি, এটার স্ট্যাটাস জানার জন্য এবং এজন্য কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা সকল সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল প্রতিষ্ঠান এই ভেক্টর (ডেঙ্গুর বাহক মশা) ম্যানেজমেন্টে কাজ করছি। গত বছরের যে অভিজ্ঞতা আছে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা আরো বেশি পদক্ষেপ নিচ্ছি।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে ১০ মিলিয়ন পোকামাকড় আছে, যার মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এমন ওষুধ স্প্রে করা যাবে না যাতে ক্ষতিকর পতঙ্গ দমন করতে গিয়ে উপকারী পোকামাকড়ও মরে যায়। তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি আমাদের মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্মকর্তারা সবাই আন্তরিকতার সহিত ইতোমধ্যে এখনও তো মশার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি, বৃষ্টিও হয়নি। কিন্তু এর মধ্যে আমরা ৫/৬টা মিটিং করে ফেলেছি এবং উই আর ওয়ার্কিং। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা সবার সাথে রেগুলার কোঅর্ডিনেশন ও কো-অপারেশন আছে।
চীনের উদাহরণ টেনে তাজুল ইসলাম বলেন, আজকে চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেখানকার মানুষ হাল ছেড়ে দেয়নি। তারাও চ্যালেঞ্জটাকে মোকাবিলা করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।