বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালীর মহিপুরে প্রেসক্লাব সভাপতি ও জিটিভি’র স্থানীয় প্রতিনিধি সাংবাদিক মনিরুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। সোমবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন শেষে কলাপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মোশারফ হোসেন মিন্টুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক মেজবাহউদ্দিন মাননু, সাগরকন্যা নিউজ পোর্টালের সম্পাদক নাসির উদ্দিন বিপ্লব, কলাপাড়া রিপোর্টর্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন বিপু, রিপোর্টর্স ক্লাবের সভাপতি এস কে রঞ্জন, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সাধারণ সস্পাদক কাজী সাঈদ, মহিপুর প্রেসক্লাব সম্পাদক নাসির উদ্দিন, কলাপাড়া টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রয়েল প্রমুখ।
সভায় বক্তারা আগামী তিনদিনের মধ্যে সাংবাদিক মনিরুল ইসলামের উপর হামলাকারী সস্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় কলাপাড়ায় কর্মরত অর্ধশতাধিক গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মহিপুর থানার আমবাগানে মহিপুর থানা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি সোহাগ আকন ও রেজাউল আকনের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে মনিরুল ইসলামের উপর। বালুর ব্যবসার ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করে মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়া হয়। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় প্রথমে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে ওই রাতেই তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এ ঘটনায় ১ মার্চ সোহাগ আকনকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত ৫ জনের বিরুদ্ধে মনিরুলের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মহিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, এ ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বরং ওইসব সন্ত্রাসীর প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমনটাই অভিযোগ করেছেন আহত সাংবাদিকের পরিবার।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবুল আলম বলেন, এঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।