বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪০ অপরাহ্ন
দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাইরাস আতঙ্ক প্রকট আকার ধারণ করছে। এরই মধ্যে দেশটিতে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য এক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রধানকে দায়ী করা হচ্ছে।
শিনচিওঞ্জি নামে ক্ষুদ্র ওই খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতা হলেন লি ম্যান-হি। এক সংবাদ সম্মেলনে হাঁটু গেড়ে বিনয়ের সঙ্গে ক্ষমা চেয়েছেন শিনচিওঞ্জি গির্জার এই প্রধান।
সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
লি ম্যান-হির দাবি, তিনি যিশু খ্রিস্টের দ্বিতীয় অবতার। বাইবেলে উল্লিখিত ‘প্রতিশ্রুতিযুক্ত যাজক’ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। তিনি এক লাখ ৪৪ হাজার মানুষকে না কি তার সঙ্গে স্বর্গে নিয়ে যাবেন।
৮৮ বছর বয়সী এই নেতা বলেন, ‘এটা কোনো উদ্দেশ্যমূলক ছিল না। তারপরেও মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এটাকে বাধা দিতে, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের উহান শহর থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়। তেমনি দক্ষিণ কোরিয়ার দুই শহর- দেগু এবং চোংডোকে ভাইরাস ছড়ানোর সূত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আর এতে সন্দেহের তীর গিয়ে পড়ে ঐ অঞ্চলের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের দিকে। বলা হচ্ছে, দেগু এবং চোংডোতে এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর কয়েকশ সদস্যের শরীরে করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়। তারপরেও তারা দেশজুড়ে ভ্রমণ করেছে।
এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তরা তাদের নাম গোপন করেছে। ফলে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, আক্রান্তদের অধিকাংশই শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের অনুসারী। চোংডো শহরের হাসপাতালে এদের রোগীই বেশি দেখা গেছে।
তবে গির্জার মুখপাত্র কিম শিন-চ্যাং বিবিসিকে বলেছেন, তারা দেশের কর্তৃপক্ষকে গোষ্ঠীর সদস্য, শিক্ষার্থী এবং বাড়ির একটি তালিকা দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সদস্যদের সুরক্ষার কারণে আমরা এই তথ্য প্রকাশ করতে উদ্বিগ্ন ছিলাম।’
দক্ষিণ কোরিয়ায় চার হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ ওই গির্জার সদস্য।
এছাড়া সোমবার দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪৭৬ জন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা মোট চার হাজার ২১২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।
সুত্র ইত্তেফাক