সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
কোনো নোটিশ বা কারণ ছাড়াই এসএটিভির ২৭ সংবাদকর্মীকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এসব সাংবাদিক ও কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হয়েছে বলে জানা যায়।
চাকরি হারানোর এই তালিকায় রয়েছেন- এসএটিভির বার্তা সম্পাদক রনজক রিজভী, নিউজরুম এডিটর সাজিয়া আক্তার, সায়িকা সাম্মা, বীথি দত্ত রায়, মোহাম্মদ রিপন, শাফায়েত দীপ্ত, রিপোর্টার মৌসুমী আচার্য্য, মাইনুল শোভন, নিয়ামুল আজিজ সাদেক, প্রোডাকশনের আরেফিন সেতু, আব্দুল্লাহ বাকি রিমন, আইটির মো. তৌহিদ মিলটন, সৈকত হোসেন, মাহমুদ হক রাজিন, ইমন উদ্দিন, মো. রাসেল আহমেদ, ব্রডকাস্টের মারুফ হোসেন, ক্যামেরাপারসন রাসেল মিজান, সিএম মনির, বদরুজ্জামান জুয়েল, আশিকুল ইসলাম, মামুন, ভিডিও এডিটর জেবিন, মৌসুমি, সবুজ, প্রোগ্রামের ভিডিও এডিটর সোহেল এবং স্টোরের হুমায়ুন।
এর আগে ১৪ মার্চ চাকরিচ্যুত হন প্রোডাকশন ইনচার্জ বিকাশ।
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামীপন্থী, প্রগতিশীল এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাছাই করে এসএটিভি থেকে ছাঁটাইয়ের এই তালিকাটি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস আল মামুন। তিনি চ্যানেল ওয়ানের সাংবাদিক মাহমুদ আল ফয়সাল হিসেবে পরিচিত ।
ফয়সাল বর্তমানে এসএটিভির হেড অব নিউজ হিসেবে কর্মরত। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে এই চ্যানেল পরিচালনায় পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন গিয়াস আল মামুনের আরেক ঘনিষ্ঠজন। তিনি হলেন, কথিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব একে পাটোয়ারী। যাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষের সূচনালগ্নের রাতেও এসএটিভির টকশো লেট এডিশনে দেখা গেছে।
তবে যে দুজনের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা অভিযোগ করেছেন এ বিষয়ে তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর এসএটিভির ব্রডকাস্ট ও প্রোগ্রাম বিভাগের ১০ কর্মীকে ছাঁটাই এবং অবৈধভাবে ৮ সংবাদকর্মীকে কর্মবিরতি দেওয়ার জেরে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। পরে গুলশানের এসএটিভির প্রধান কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেয় সাংবাদিকরা।