রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
কুড়িল চৌরাস্তা এলাকার হতদরিদ্র বাসিন্দারা ডিএনসিসির একই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত কাউন্সিলর ডা. জিন্নাত আলীর অফিস এবং বাসায় গিয়েও বিক্ষোভ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এলাকার দিনমজুর, অসহায় ও দুস্থদের তালিকা তৈরি করেছেন দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোকজন। এখনও পর্যন্ত কারও পক্ষ থেকে কোনো ত্রাণ সহায়তা পাননি তারা। বৃহস্পতিবার ত্রাণ সহায়তার জন্য নবনির্বাচিত কাউন্সিলরের বাসায় গেলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ কারণে তারা সেখানে বিক্ষোভ করেছেন।
এ বিষয়ে কুড়িল চৌরাস্তা এলাকার গৃহবধূ শেফালী বেগম যুগান্তরকে বলেন, ‘কাউন্সিলর অফিস থেইক্যা আমাগো নামের তালিকা করে নিছে। কিন্তু কাউরে ত্রাণ দিতাছে না। আজ (বৃহস্পতিবার) ত্রাণ আনতে কাউন্সিলর অফিসে গেছিলাম। কাউন্সিলরের লোকেরা ত্রাণ না দেয়ায় ভুক্তভোগীরা বিক্ষোভ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলরের (আবু ইসহাক মিয়া) লোকেরা বলছেন-সরকার তাদের কোনো বরাদ্দ দেয়নি। এ কারণে তাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকু দিচ্ছেন।’
এ বিষয়ে ডিএনসিসির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর আবু ইসহাক মিয়া যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি আজ (বৃহস্পতিবার) করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে ব্যস্ত ছিলাম। শুনেছি দুপুরের দিকে আমার বাসার সামনে কুড়িল এলাকার কিছু মানুষ এসেছিলেন। আমি খোঁজখবর করে তাদের ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করব।’
একই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত কাউন্সিলর ডা. জিন্নাত আলী যুগান্তরকে বলেন, ‘ডিএনসিসি থেকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য ২ লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ টাকা দিয়ে ৬০০ প্যাকেট খাদ্য উপকরণ প্রস্তুত করা হয়েছে। সেসব খাদ্য উপকরণ বিভিন্ন বস্তিতে সরবরাহ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, কুড়িল চৌরাস্তা এলাকার যেসব অসহায় মানুষ এখনও ত্রাণ সহযোগিতা পাননি, তাদেরও এ সহযোগিতা দেয়া হবে। এজন্য আজ (বৃহস্পতিবার) রাতে আমি এবং নবনির্বাচিত কাউন্সিলর বৈঠক করব। এরপর ডিএনসিসির বরাদ্দ এবং দুইজনের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে কিছু বরাদ্দ দিয়ে দুস্থদের মাঝে খাদ্য উপকরণ বিতরণের চেষ্টা করব।
সুত্র যুগান্তর