রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে “ঘরে থাকুন-সুস্থ্য থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পিরোজপুরের ৭ উপজেলার ২৫ হাজার কর্মহীন শ্রমজীবী পরিবারকে ব্যক্তিগত অর্থায়নে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন পিরোজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন মহারাজ। একই সাথে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে জেলার ৭ উপজেলার অসহায় মানুষের মাঝে নগদ ২০ লাখ টাকা প্রদান করেছেন।
তিনি প্রতিটি উপজেলায় গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছে খাদ্য সহায়তার খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট পৌঁছে দিচ্ছেন। তিনি মঠবাড়িয়া পরিষদ চত্বর ও ইন্দুরকানী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে উপজেলার শ্রমজীবী মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তার খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। এদিন তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলার ৬ হাজার এবং ইন্দুরকানী উপজেলার ২ হাজার পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন। এর আগে জেলার কাউখালী উপজেলার ৩ হাজার মানুষের খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন। এসময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আগামীকাল পিরোজপুর সদর উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলায় এ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে।
শ্রমজীবীদের পরিবারের জন্য দেয়া খাদ্য সমগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ লিটার তেল, ৫০০ গ্রাম লবন ও ১টি সাবান।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন মহারাজ জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার জনগনকে ঘরে থাকতে বলেছে। সরকারী অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করেছে। সরকারের এ নির্দেশনা মেনে জনগণ ঘরে অবস্থান নিয়েছে। এ পরিস্থিতে প্রতিদিনের খেটে খাওয়া মানুষজনসহ নি¤œ আয়ের এবং নি¤œ মধ্যবিত্তসহ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের এই দুর্দিনে একজন মানুষ হিসেবে আমার সাধ্যমত তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, পিরোজপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে জেলার ৩ হাজার কর্মহীন শ্রমজীবীকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ লিটার তেল এবং আধা কেজি লবনের একটি প্যাকেজ দেয়া হয়েছে।
জনসাধারণসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২০ হাজার মাস্ক, ১৬ হাজার হ্যান্ডওয়াশ, ৭ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৫ হাজার সাবান এবং ২০ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে হাত ধোয়ার জন্য স্থায়ীভাবে বেসিন বসানো হয়েছে।
জেলা পরিষদের এ উদ্যোগের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে জেলার ৭ উপজেলার ২৫ হাজার অসহায় পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় ৬ হাজার, ইন্দুরকানী উপজেলায় ২ হাজার এবং কাউখালী উপজেলায় ৩ হাজার প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার পিরোজপুর সদর উপজেলায় ২ হাজার ৫শ’ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হবে। পর্যায়ক্রমে নাজিরপুর উপজেলায় ২ হাজার ৫শ’ প্যাকেট, স্বরূপকাঠী উপজেলায় ৩ হাজার এবং ভান্ডারিয়া উপজেলায় ৬ হাজার প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে।