বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ভেচকি এলাকার মাদক ব্যবসায়ী দুই পুত্রসহ তিন বাপ-বেটার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও জীবনাশের হুমকির মুখে নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় পৃথক দু’টি সাধারণ ডায়েরী করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন খান ও স্থানীয় বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন।
জিডি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের ভেচকি গ্রামের তোতার মিয়ার পুত্র মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামী রুহুল আমিন ও তার ভাই রফিক দীর্ঘ দিন ধরে চুরি, মাদক ব্যবসাসহ এলাকার নিরীহ লোকজনকে মারধর, মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল।
এলাকাবাসী তাদের বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুল ও তার দলবল নিরীহ লোকজনকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়।
সরেজমিনে গেলে টিকিকাটা ইউপি’র সদস্য ইসমাইল হোসেন জানান, মাদক ব্যবসায়ী রুহুল স¤প্রতি একাধিক মামলায় আদালত থেকে জামিনে এসে বাইশকুড়া বাজারে তার নবনির্মিত ঘরে মাদক সেবন করলে তার মাদ্রাসা পড়–য়া পুত্র ইছাহাক খান এতে বাঁধা দেয়। এর জের ধরে রুহুল ও তার ছোট ভাই রফিক, পিতা তোতা মিয়া ও ভাড়াটে সুমন দেশী অস্ত্র নিয়ে আমাকে ও আমার পুত্র ইছাহক, স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব, বাহাউদ্দিন ও শামীমকে বাইশকুড়া বাজারের পরিত্যাক্ত একটি ঘরে আটক করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এঘটনায় ভেচকি, কুমিরমারা ও বাইশকুড়া বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তারা পালিয়ে যায়।
উত্তর ভেচকি গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন জানান, আমার দুটি মটরসাইকেল চুরির ঘটনায় রুহুল, রফিক ও তাদের পিতা তোতাকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করি।
ওই মামলা আদালতে বিচারধীন থাকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে আমাকে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
এব্যপারে অভিযুক্ত তোতা মিয়া তার ও তার দুই পুত্রের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কয়েক দিন পূর্বে বাইশকুড়া বাজারে ইউ,পি সদস্য ইসমাইল মেম্বার ও তার পুত্রের সাথে বাকবিতান্ডা হয়েছিল।
যা আমি মিমাংসা করে দেই।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জাফর মোঃ মাসুদ্দুজামান জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয় তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।