রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খু’নি মাজেদের লাশ রাতের আঁধারে চুপিসারে কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে দাফন করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। তিনি বলেন, হ’ত্যাকারী মাজেদ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হ’ত্যা করার মাধ্যমে সমগ্র বাঙ্গালী জাতিকে কলঙ্কিত করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হ’ত্যায় সরাসরি অংশগ্রহণের দায়ে ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের মৃ’ত্যুদণ্ড কার্যকরের পর তার লাশ সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের সাতগ্রাম কবরস্থানে চুপিসারে দাফন করায় সোনারগাঁওবাসী কলঙ্কিত হয়েছে। তার লাশ সোনারগাঁয়ের পবিত্র মাটিতে রাখতে দেয়া হবে না। অবিলম্বে হ’ত্যাকারী মাজেদের লাশ সোনারগাঁও থেকে অপসারণ করে সোনারগাঁওকে কলঙ্ক মুক্ত করার দাবি জানান এমপি খোকা।রোববার (১২্ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ঈশা খাঁর রাজধানী প্রাচীন বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নানা বৈচিত্রে সমৃদ্ধ সোনারগাঁওয়ে সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ্, ঐতিহাসিক পাঁচ পীরের দরগাহ্, সুলতান দানেশ মান্দ, উপমহাদেশের প্রথম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শেখ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা (রঃ)সহ অসংখ্য পীর আউলিয়াগণ শায়িত আছেন। শুধুমাত্র দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার বাড়ির সূত্রে বাঙ্গালী জাতির জনকের আত্মস্বীকৃত হ’ত্যাকারী মাজেদের কলঙ্কিত লাশ সোনারগাঁওয়ে দাফন করায় সোনারগাঁও উপজেলা মহাজোট ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দসহ সমগ্র সোনারগাঁওবাসী কলঙ্কিত হয়েছে। প্রয়োজনে হ’ত্যাকারী মাজেদের লাশ কবর থেকে অপসারণ করে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে সোনারগাঁওকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে।তিনি আরও বলেন, হত্যাকারী মাজেদের জন্মস্থান ভোলার বোরহানউদ্দিন এলাকায়, তাই তার লাশ সেখানে দাফন হওয়ার কথা। সোনারগাঁওয়ের কেউ এর সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুর রউফ ও উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং হ’ত্যাকারী মাজেদের লাশ অপসারণের দাবি জানান।
সুত্র bd24live.com