বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কাউখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ভাণ্ডারিয়ায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে স্বাধীনতা দিবসের পতাকা ওড়েনি কাউখালীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত ইন্দুরকানীতে রোযাদারদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ বিআরটিসি’র বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সুপারভাইজার ও এক যাত্রী নিহত- আহত-২৫ ওটিটিতে পাঠানের মুক্তির পর ক্ষুব্ধ ভক্তরা রোজা শুরু শুক্রবার ভান্ডারিয়াকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় কাউখালীতে আরো ১০০ গৃহহীন পরিবার পেল ঘর আফিফ-সোহানকে বাদ দিয়ে টি-টোয়েন্টির দল ঘোষণা বাংলাদেশের ‘খুশি আছুন্তি, জমি দেখুন্তি, নবীনজির সঙ্গে মিলুন্তি’, বললেন মমতা কাউখালীতে কেউন্দিয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নাজিরপুরে কলেজ ছাত্রী লামিয়া হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কাউখালীতে ৭৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার একমাত্র নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহানা ছিদ্দিকা এর ইন্তেকাল ভান্ডারিয়া বন্দর সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিদায় সংবর্ধণা অনুষ্ঠিত ফাঁকা বাড়িতে ইফতার দিতে এসে রোজাদার গৃহবধূকে ধর্ষণ লালমাইয়ে প্রবাসীর স্ত্রী নিখোঁজ ভান্ডারিয়ায় নবাগত ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় মঠবাড়িয়ায় ব্যাংকের উদ্যোগে রমজানের উপহার সামগ্রী বিতরণ
চার শিশুকে নিয়ে ১০০ কিমি পাড়ি

চার শিশুকে নিয়ে ১০০ কিমি পাড়ি

কোলে দু’মাসের শিশু। সঙ্গে আরও তিন সন্তান। চার মেয়েকে নিয়ে মালদহের কালিয়াচক থেকে হেঁটে বাড়ির পথে এগোলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের এক দম্পতি। দীর্ঘ ১০০ কিলোমিটার পথ চলতে গিয়ে তাঁরা বিশ্রাম নিচ্ছেন জাতীয় সড়কের ফুটপাতে। কখনও পুলিশ, কখনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দেওয়া খাবার খেয়েই মেয়েদের নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে মরিয়া জিতেন ও মাধবী বেদ।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বারোদুয়ারির রামনগর গ্রামের বেদপাড়ায় বাড়ি জিতেনের। তিনি বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করেন। দোলের পরে সদ্যোজাত সন্তান সুন্দরী এবং আরও তিন শিশুকন্যাকে নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে কালিয়াচকের রেলগেট এলাকায় মধু সংগ্রহে যান তিনি। সেখানেই তাঁবুতে সপরিবার থাকছিলেন। ওই দম্পতি জানিয়েছেন, তবে করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় লকডাউন হতেই জঙ্গলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় জিতেনের। তাঁবুতেই বন্দি হয়ে যান। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে খাবার মিললেও পাঁচটি পেট চালানো সমস্যা হয়ে উঠেছিল।

শুক্রবার দুপুরে মেয়েদের নিয়ে কালিয়াচক থেকে বেরিয়ে পড়েন সপরিবার। হাঁটতে শুরু করেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে হাঁটতে শুরু করে সাত বছরের রূপমালা, পাঁচ বছরের কমলাও। তিন বছরের মামনিকে কোলে তুলে নেন জিতেন। গত রাতে ৯টা নাগাদ ইংরেজবাজার শহরের রথবাড়িতে পৌঁছন তাঁরা। মেয়েরা আর হাঁটতে না পাড়ায় রথবাড়িতেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ফুটপাতে ত্রিপল পেতে শুয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে পৌঁছান টহলরত পুলিশ কর্মীরা। পুলিশের তরফে তাঁদের সকলের জন্যে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

শনিবার ভোরের আলো ফুটতেই ফের হাঁটতে শুরু করেন জিতেনরা। তিনি বলেন, ‘‘বাড়িতে রেশন কার্ড রয়েছে। কোনও রকমে বাড়িতে পৌঁছলে রেশন থেকে খাদ্যসামগ্রী মিলবে। আত্মীয়েরাও পাশে থাকবেন। কালিয়াচকে অর্ধাহারে দিন কাটছিল। তাই হেঁটেই বাড়ির পথে রওনা দিয়েছি।’’

মাধবী বলেন, ‘‘বনে হেঁটে হেঁটেই মধু সংগ্রহ করতে হয়। তবে ছোট

ছোট মেয়েদের দীর্ঘ পথ হাঁটার শক্তি নেই। তবে কষ্ট হলেও বাড়িতে ফিরতেই হবে।”

সুত্র আনন্দ বাজার পত্রিকা

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন










© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana