বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
জুলফিকার আমিন সোহেল,বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরে মঠবাড়িয়ায় ভাতিজা ও তাদের সহযোগিতের হামালায় দোলোয়ার হোসেন মাতুব্বর (৭০) নামে এক বৃদ্ধ গুরুতর আহত হয়েছেন। ভাতিজাদের লাঠির আঘাতে বৃদ্ধ দোলোয়ার হোসেনের শরীরের একাধিক অংশ জখমসহ মাথা ফেঁটে যায়। গত আটদিন ধরে তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের তত্ত¡াবধায়নে নিজ বাড়িতে চিকিসায় রয়েছেন। বুধবার (২২ মার্চ) তার মাথার সেলাই কাঁটার কথা রয়েছে। দোলোয়ার হোসেন উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিম গিলাবাদ গ্রামের মৃত. মকবুল হোসেন মাতুব্বরের ছেলে।
আহত দোলোয়ার হোসেন ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ১৪ এপ্রিল দুপুরে ভাতিজা রাসেলের স্ত্রী শারমিন বেগম চাচা শ^শুর দোলোয়ার হোসেনের কাছে বিচার দিতে আসে যে, তার স্বামী রাসেল গত দু‘দিন ধরে কয়েক দফা তাকে মারধর করে। দোলোয়ার হোসেন এসময় পুকুরে গোসল করছে আর ভাতিজা পুত্র বধূঁর কাছে থেকে ঘটনা শুনছেন এবং তাকে শান্তনা দিচ্ছেন। হঠাৎ রাসেল এসে তার স্ত্রী শারমিনকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। এসময় দোলোয়ার হোসেন একটি কঞ্চি দিয়ে রাসেলকে দুটি পিটান দিয়ে বলে আমার সামনেও তুই তোর বৌকে পেটাও বেয়াদপ। এতে রাসেল তার চাচা দোলোয়ার হোসেন এর ওপর প্রচন্ড ক্ষেপে গিয়ে তার বড় ভাই ছগিরকে ডাক দেয়। সাথে-সাথে ছগির, নূরুসহ অজ্ঞাত আরও তিন যুবক এসে যায়। এসময় তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার সৃষ্টি ও তেড়ে আসার ঘটনা ঘটে। রাসেল ও ছগির মৃত. লোকমান মাতুব্বরের ছেলে। নূরু মিয়া কবির মাতুব্বরের ছেলে।
রাতে দোলোয়ার হোসেন ভাতিজাদের আচারণ সম্পর্কে অপর এক ভাই আনোয়ার হোসেন মাতুব্বরের কাছে বিচার দিয়ে যায়। এসময় রাসেল (৩০), ছগির (৩৫), নূরু (১৯) ও অজ্ঞাত ওই তিন যুবক এসে আনোয়ার মাতুব্বরকে ঘরে আটকিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে তারা করে বাচ্চু মাতুব্বরের উঠনে ফেলে বেধরক পিটিয়ে জখম করে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকা ও করোনার কারনে ওই রাতে তাকে স্বজনরা হাসপাতালে নিতে পারেনি। পরের দিন হাসপাতালে নিয়ে মাথায় সেলাই করিয়ে ও ডাক্তরদের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এব্যপারে কথা বলার জন্য সরেজমিনে গিয়েও রাসেল গংদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আর একটু সুস্থ্য হয়েই এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে আহত দোলোয়ার হোসেন জানান। মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।