শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কাউখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী ভান্ডারিয়ায় পানিতে ডুবে মামা-ভাগ্নের মৃত্যু ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কাউখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ভাণ্ডারিয়ায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে স্বাধীনতা দিবসের পতাকা ওড়েনি কাউখালীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত ইন্দুরকানীতে রোযাদারদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ বিআরটিসি’র বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সুপারভাইজার ও এক যাত্রী নিহত- আহত-২৫ ওটিটিতে পাঠানের মুক্তির পর ক্ষুব্ধ ভক্তরা রোজা শুরু শুক্রবার ভান্ডারিয়াকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় কাউখালীতে আরো ১০০ গৃহহীন পরিবার পেল ঘর আফিফ-সোহানকে বাদ দিয়ে টি-টোয়েন্টির দল ঘোষণা বাংলাদেশের ‘খুশি আছুন্তি, জমি দেখুন্তি, নবীনজির সঙ্গে মিলুন্তি’, বললেন মমতা কাউখালীতে কেউন্দিয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নাজিরপুরে কলেজ ছাত্রী লামিয়া হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কাউখালীতে ৭৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার একমাত্র নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহানা ছিদ্দিকা এর ইন্তেকাল ভান্ডারিয়া বন্দর সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিদায় সংবর্ধণা অনুষ্ঠিত ফাঁকা বাড়িতে ইফতার দিতে এসে রোজাদার গৃহবধূকে ধর্ষণ লালমাইয়ে প্রবাসীর স্ত্রী নিখোঁজ
করোনার মধ্যেই আরেক বিপদ, ভারত ও বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে পঙ্গপাল!

করোনার মধ্যেই আরেক বিপদ, ভারত ও বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে পঙ্গপাল!

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের এই প্রকোপের মধ্যেই ভারত ও বাংলাদেশের দিয়ে ধেয়ে আসছে আরেকটি বিপদ। যে বিপদের আশঙ্কা ইতিপূর্বেও করা হয়েছিল।

ভারতের হিন্দু পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে একদল পঙ্গপাল সরাসরি ভারত উপদ্বীপের কৃষিজমিতে নেমে পড়তে পারে। এরপরই ছুঁটে আসবে বাংলাদেশের দিকে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারত যখন প্রাণপণে লড়ে যাচ্ছে তখন দেশটির দিকে ধেয়ে আসছে আরেকটি ভয়াবহ বিপদ। এ গৃষ্মেই ভারতের কৃষি জমিগুলোতে হামলে পড়তে পারে পঙ্গপাল। সরকারি সূত্র জানায়, দুই ফ্রন্টে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত সরকার। একটি হচ্ছে চলমান করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আর অন্যটি হচ্ছে পঙ্গপালকে প্রতিরোধ করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

ওই সূত্রটি জানায়, হর্ন অব আফ্রিকা থেকে একদল পঙ্গপাল গতিপথে মরু অঞ্চলের আরেকদলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হানা দিচ্ছে। এদের একটি ঝাঁক ইয়েমেন, বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, ইরান, সৌদি আরব এবং পাকিস্তান হয়ে ভারতে হানা দিচ্ছে। এরা ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ আরো কয়েকটি এলাকায় ঢুকছে। অন্যদলটি ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে সরাসরি ভারত উপদ্বীপের কৃষিজমিতে নেমে পড়তে পারে। এরপরই যাবে বাংলাদেশের দিকে। উভয় ঝাঁকের সম্মিলিত হামলায় ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা সংকটে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির নীতি নির্ধারকরা।

গত ২১ এপ্রিল জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, মরুর পঙ্গপাল যারা এ বসন্তে পূর্ব আফ্রিকা, ইয়েমেন ও দক্ষিণ ইরানে হানা দিয়েছে। আফ্রো-এশীয় অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও তারা বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
বাংলাদেশেও আক্রমণ হতে পারে পঙ্গপালের। এ আশঙ্কা ইতিপূর্বে দেশের কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে করা হয়েছিলো।  যেহেতু পঙ্গপালের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বাতাসের উষ্ণতার গতি অনুযায়ী চলাফেরা করে এবং এক জায়গার খাবার ফুরালেই নতুন জায়গার খোঁজ করে, সে কারণে কৃষি অধিদপ্তরের আশঙ্কা ওরা বাংলাদেশেও হানা দিতে পারে।

উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের কাছে ইংরেজি লোকাস্ট নামে পরিচিত এই পঙ্গপাল। বাংলায় এর নাম পতঙ্গ, এটি এক জাতের ঘাসফড়িঙ। স্বভাবে কিছুটা লাজুক প্রকৃতির ইঞ্চি খানেক দৈর্ঘ্যের এই পতঙ্গ, খাবারের জন্য নিজ প্রজাতির বিপুল সংখ্যক সদস্যের সঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ায়।
সাধারণত একেক ঝাঁকে কয়েক লাখ থেকে এক হাজার কোটি পতঙ্গ থাকতে পারে। তখন একে পঙ্গপাল বলে। পঙ্গপাল যখন ফসলের ক্ষেতে আক্রমণ করে, তখন তা একজন কৃষকের জন্য রীতিমত দুঃস্বপ্নের বিষয় হয়ে ওঠে।

একটি পূর্ণ বয়স্ক পঙ্গপাল প্রতিদিন তার ওজনের সমপরিমাণ খাদ্য খেতে পারে। যে অঞ্চলে তারা আক্রমণ করে, সেখানে খাদ্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা অন্য অঞ্চলে যায় না।
এফএও বলছে, এক বর্গকিলোমিটার আকারের পঙ্গপাল এক সঙ্গে যে খাবার খায় তা দিয়ে ৩৫ হাজার মানুষকে এক বছর খাওয়ানো সম্ভব। একটি বড় পঙ্গপাল দিনে ১২০ মাইল পর্যন্ত জমির ফসল খেয়ে ফেলতে পারে। কেবল খাবারই খায় না তারা, একই সঙ্গে প্রজননের কাজটিও করে। সূত্র: দ্য হিন্দু

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন










© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana