রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন
গাজী আবুল কালাম,ইন্দুরকানী(পিরোজপুর)প্রতিনিধিঃ
করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ আক্রমণে যখন সারাদেশ আর দেশে মানুষ ধরাশায়ী, মানুষের জীবনমান যখন বিপর্যস্ত এবং বেঁচে থাকার লড়াই করেন যাচ্ছেন। ঠিক তখনই পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নিত্যপ্রয়োজনিয় পণ্যের বাজার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় হতাশ হয়ে পরেছেন ক্রেতা সাধারণ। কয়েকদিন পর্যন্ত ইন্দুরকানী বাজার সহ উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় মুদি মনোহরি পণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনিয় সকল পণ্যের দাম বেড়েছে ।
কয়েকজন ক্রেতাদের সাথে কথা বলা হলে তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরুর সাথে সাথেই বাজার মূল্য বৃদ্ধি শুরু হয়েছে যেটা এতদিন আমাদের সহনীয় পর্যায়ে থাকলে ও এখন আর আমাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নেই। একেতো এই পরিস্থিতিতে আমাদের আয় রোজগার বন্ধ, তার মাঝে আবার বাজার মূল্য বৃদ্ধি এমতাবস্থায় আমরা খুবই অসুবিধায় পড়েছি। এ অবস্থার পরিত্রান চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও কামনা করেন তারা। অনেক ক্রেতা সাধারণ মনেকরেন প্রসাশনের নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে। অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুল্যনিতে পারতোনা।
দুতিনি দিন আগে বাজারে বড় মুশুরির ডাল ৮০ টাকা দুদিন পরে ৯০- ১০০ টাকা, ছোলা ৬৭-৭০ টাকা এখন ৭৫-৮০ টাকা, চিড়া ৫০ টাকার এখন ৬০ টাকা, ইতিপূর্বে চালের দাম ৫০ কেজির বস্তা প্রতি ৬০০-৭০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া অনেক নিত্য পণ্যের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগনকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
রমজান মাস এমন অবস্থা চলতে থাকলে দরিদ্রদের কি হবে একবার ভেবে দেখা প্রয়োজন। বাজারে দোকানে পন্যমুল্যর তালিকা প্রকাশ্যে টানিয়ে রাখার কথা থাকলেও কোন ব্যবসায়ীরা এই পন্যমুল্য তালিকা টাঙ্গিয়ে রাখছেনা বাজারে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আমরাতো দাম বাড়াাইনা। দামতো বাড়ায় যারা পণ্য মজুদ রেখেছে তারা। অমরা যখন যে দামে মাল ক্রয় করি তার উপর ভিত্তি করে বিক্রি করি, আমরা এখন মালা মাল আনার জন্য পরিবাহন পাইনা, লেবারও পাইনা যার কারনে অধিক পরিবহন খরচে মাল আনতে হয় এরকম হজারো বাহানা তাদের।
ইন্দুরকানী বাজার বনিক সমিতির সভাপতি জহিরুল হক ওহাব বলেন আমাদের পক্ষোথেকে ব্যবসায়ী দের বলা হয়েছে প্রকাশে পন্য মুল্যর তালিকা প্রদর্শন করতে হবে। অধিক মুনাফা না করার জান্য। তবে কিছু ব্যবসায়ী রয়েছে তারা কোন নিয়মকানুন মানেনা। সুযোগ পেলেই পন্যর মুল্য বারিয়েদেন এটা মোটেই কাম্য নয়।
এ বিষযে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মাদ আল মুজাহিদ বলেন প্রটি দোকানে প্রকাশ্যে মুল্য তালিকা লিখে রাখতে হবে। বেশি দামনিতে পারবেনা। রমজান মাসে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা করে আমরা খেয়াল রাখছি । আমরা বাজার তদারকি করছি। বাজার মনিটরিং চলমান রয়েছে। আইন অমান্য করলে আইনের আওতায় আনা হবে।