বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কাউখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ভাণ্ডারিয়ায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে স্বাধীনতা দিবসের পতাকা ওড়েনি কাউখালীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত ইন্দুরকানীতে রোযাদারদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ বিআরটিসি’র বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সুপারভাইজার ও এক যাত্রী নিহত- আহত-২৫ ওটিটিতে পাঠানের মুক্তির পর ক্ষুব্ধ ভক্তরা রোজা শুরু শুক্রবার ভান্ডারিয়াকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় কাউখালীতে আরো ১০০ গৃহহীন পরিবার পেল ঘর আফিফ-সোহানকে বাদ দিয়ে টি-টোয়েন্টির দল ঘোষণা বাংলাদেশের ‘খুশি আছুন্তি, জমি দেখুন্তি, নবীনজির সঙ্গে মিলুন্তি’, বললেন মমতা কাউখালীতে কেউন্দিয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নাজিরপুরে কলেজ ছাত্রী লামিয়া হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কাউখালীতে ৭৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার একমাত্র নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহানা ছিদ্দিকা এর ইন্তেকাল ভান্ডারিয়া বন্দর সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিদায় সংবর্ধণা অনুষ্ঠিত ফাঁকা বাড়িতে ইফতার দিতে এসে রোজাদার গৃহবধূকে ধর্ষণ লালমাইয়ে প্রবাসীর স্ত্রী নিখোঁজ ভান্ডারিয়ায় নবাগত ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় মঠবাড়িয়ায় ব্যাংকের উদ্যোগে রমজানের উপহার সামগ্রী বিতরণ
৭০ কোটি ডলার দ্রুত ছাড়ে আইএমএফকে চিঠি দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী

৭০ কোটি ডলার দ্রুত ছাড়ে আইএমএফকে চিঠি দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী

আইএমএফের ৭০ কোটি ডলার দ্রুত ছাড়ে চিঠি দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। - ছবি : সংগৃহীত

করোনার বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় দ্রুত ৭০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড় করতে আইএমএফকে অনুরোধ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আরসিএফের (র্যাপিড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি) আওতায় এ ঋণ ব্যালান্স অব পেমেন্টের (বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিপত্র) ঘাটতি মোকাবেলায় ব্যবহার করা হবে। দ্রুত অর্থ ছাড় করার জন্য এ সপ্তাহেই অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আইএমএফের কাছে একটি পত্র দিতে যাচ্ছেন। চিঠিতে বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতির একটি সার্বিক চিত্র তুলে ধরে দ্রুত ৭০ কোটি ডলার (বাংলাদেশী মানে যা প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা) ছাড় করার জন্য অনুরোধ জানানো হবে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে গত এপ্রিলে আইএমএফের কাছে এই পরিমাণ অর্থ চেয়ে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। এ ঋণের জন্য তেমন কোনো শর্ত দেয়া হয় না। শুধুমাত্র বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রেখে দারিদ্র্যবিমোচনের দিকে বেশি নজর দিতে বলা হয়।

জানা গেছে, আরসিএফের আওতায় পাওয়া ঋণের সুদহার শূন্য শতাংশ। অর্থাৎ, এ ঋণে কোনো সুদ আরোপ করা হয় না। আইএমএফের ঋণে কঠিন শর্ত থাকলেও এ ক্ষেত্রে তেমন কোনো কঠিন শর্ত থাকে না। সাড়ে পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ড দিয়ে (এই সময় ঋণের কোনো কিস্তি পরিশোধ করতে হয় না) ঋণ পরিশোধের সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে ১০ বছর। দীর্ঘমেয়াদি এ ঋণের অর্থ যেকোনো দেশ তার প্রয়োজনমতো ব্যবহার করতে পারে। তবে আবেদন দেশভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিবেচনা করা হয়। দেখা হয়, সংশ্লিষ্ট দেশের বৈদেশিক লেনদেনের ঘাটতি রয়েছে কি না, দেশটির সার্বিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক চিত্র কী এবং দেশটি ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য রাখে কি না। এ বিষয়ে

অর্থ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, আইএমএফ করোনাভাইরাসে সদস্য দেশগুলোর আর্থিক ক্ষতি মোকাবেলায় ১০ হাজার কোটি ডলারের একটি তহবিল তৈরি করেছে। আরসিএফের আওতায় গঠিত এ তহবিল থেকে সদস্য দেশগুলোকে কম সুদে এবং সহজশর্তে ঋণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ এ তহবিল থেকে ৭০ কোটি ডলার চেয়েছে। ঋণটি দ্রুত প্রয়োজন তাই অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এটি দ্রুত ছাড় করার জন্য চলতি সপ্তাহেই চিঠি পাঠানো হচ্ছে। এ চিঠির খুঁটিনাটি ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক চিত্র তুলে ধরে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তার বিশদ বিবরণ উল্লেখ থাকবে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের বিষয়টি উল্লেখ করে আইএমএফকে বলা হবে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে এক ধরনের চাপ অনুভূত হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ চাপ আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

জানা গেছে, চলতি বছরের জন্য আইএমএফের কাছে বাংলাদেশের ঋণের কোটা রয়েছে প্রায় ১৪৬ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক সক্ষমতা অনুযায়ী আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ ১২০ কোটি ডলার ঋণ পেতে পারে। কারণ কোনো দেশকে আইএমএফের ঋণ পেতে হলে অর্থনৈতিক সূচকগুলোর অবস্থা বিবেচনায় নেয়া হয়। এ কারণে ৭০ কোটি ডলার ঋণ আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ পেতে পারে। এর আগে আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ সর্বশেষ ২০১২ সালে ৯৮ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল। এর মেয়াদ ২০১৫ সালে শেষ হয়েছে। এর পর থেকে আইএমএফের সাথে সরকারের কোনো ঋণ চুক্তি নেই। তারা বাংলাদেশকে ঋণ দিতে নানা প্রস্তাব দিলেও সরকার তা গ্রহণ করেনি। কারণ ওই সময়ে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার কোনো ঘাটতি ছিল না।

উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে আইএমএফ করোনার প্রভাব মোকাবেলা করতে পাকিস্তানকে ১৩৯ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানই প্রথম করোনার প্রভাব মোকাবেলায় ঋণসহায়তা পেয়েছে। পাকিস্তানের অর্থনীতি এমনিতে খারাপ অবস্থায় রয়েছে, উপরন্তু বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি বেশি হওয়ায় আইএমএফ দ্রুত তাদের ওই ঋণ দেয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন










© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana