রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০১:২০ পূর্বাহ্ন
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন আঙ্গারী গ্রামে কলেজ ছাত্রীকে পিটিয়েছে মসজিদের এক ইমাম। আহত কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া নাছরিনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সুমাইয়া শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের ডিগ্রির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কারোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কলেজ ছুটি থাকার কারণে তিনি গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে ছিলেন তিনি।
এলাকাবাসীরা জানান, সুমাইয়া ঘটনার দিন তার পৈতৃক জমিতে লাগানো আম গাছ থেকে একাকি আম কুঁড়াতে গিয়েছিলেন। ওইদিন তার উপর প্রতিবেশী নবী হোসেনের নেতৃত্বে ৪-৫ অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সুমাইয়া মাটিতে লুটে পড়লে তার ওপর হামলে পড়ে এবং তাকে লাঞ্ছিত করে। পরে সুমাইয়ার চিৎকারে গ্রামের লোকজন এসে উদ্ধার করে।ঘটনা এখানেই শেষ নয়, পরদিন বুধবার সকালে আবারও জমি দখলের জন্য নবী হোসেনের লোকরা জমিতে নালা তৈরি করে এবং বাঁশ ফেলে স্তূপ তৈরি করে। নবী হোসেন ঘটনার পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি মসজিদের ইমামতি করেন। তার পিতার নাম আবদুর রহিম।
জানা গেছে, সুমাইয়ার বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ শামছুল হুদার সঙ্গে নবীর বাবা আবদুর রহিমের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। আব্দুর রহিম দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাতে ব্যর্থ হয়ে সুমাইয়ারর উপর পরিকল্পিত হামলা চালায়। সুমাইয়ার উপর হামলার ঘটনায় তার বড় ভাই সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। নবী হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার বাবা আব্দুর রহিম বলেন, কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি। তাদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহীনুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। থানার একজন তদন্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
সুত্র মানবজমিন