রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন
পিরোজপুর লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের সচেতনতার জন্য কাজ করলো এক দল তরুন তরুনী। জীবনের ঝুকি নিয়ে পিরোজপুরের হুলারহাট লঞ্চ টার্মিনালসহ বিভিন্ন স্থানে করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্বসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে শহরের এক দল তরুন তরুনী। তাদের এ সাহসীকতার সাথে সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ নেয়ায় প্রশংসিত হয়েছে।
সোমবার বিকালে হুলারহাট লঞ্চ টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লঞ্চে স্বাস্থ্য বিধি মানছে না। সামাজিক দুরত্ব বজায় নেই। আর এগুলো স্টেইজ ফর ইয়ূথের তরুন তরুনীরা তাদেরকে সচেতনতার জন্য লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ, হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখা সহ প্রচারনা চালাচ্ছে। স্টেজ ফর ইয়ূথের এক কর্মী অনা ইসলাম হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে লঞ্চের ভিতরে। যাত্রীদের মাঝে এ সতর্কবার্তা প্রচারের পরও যেনো তাদের টনক নড়ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও প্রচারনা চালাচ্ছে তাতে কিছুটা হলেও সফলতাও পেয়েছে বলেছে জানান পিরোজপুর সদর থানার ওসি নুরুল ইসলাম বাদল।
স্টেজ ফর ইয়ূথের কর্মকতা ইমরান হোসেন জানান, তরুন তরুনীদের নিয়ে আমরা করোনা সংক্রমন এড়াতে যাত্রীদেরকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। কিন্তু যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে পৌছানোর জন্য সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে, স্বাস্থ্য বিধি না মেনে একজন আরেকজনের সংস্পর্শে এসে জায়গা নিচ্ছে লঞ্চে। কোনো কিছুই মানছে না। এগুলো নিয়ে আমরা সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
এদিকে ঢাকাগামী লঞ্চের যাত্রী লোকমান হোসেন জানান, লকডাউনের আগে তার কর্মস্থল ঢাকায় পৌছাতে হবে। তাই এমন ভাবে স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে হলেও কর্মস্থলে পৌছাতে হবে।
এভাবেই প্রতিদিন পিরোজপুর লঞ্চ ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে ৩টি লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রচেষ্টায় ঘাট গুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মানলেও লঞ্চ ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর মানা হচ্ছেনা কোন নিয়ম বা স্বাস্থ্য বিধি। লঞ্চ স্টাফরা অর্থের লোভে তোয়াক্কা করছে না কোন আইনের।