শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০০ অপরাহ্ন
রাজশাহীর পুঠিয়ায় ধর্ষণের শিকার ইভা খাতুনের (১২) আত্মহত্যার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও আসামিদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় বিচারের দাবি নিয়ে অবশেষে রাস্তায় নেমেছেন তার হতভাগা বাবা।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে ইভা খাতুনের পিতা ভ্যানচালক সেলিম হোসেনকে বিচারের আশায় মেয়ের ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
ভ্যানচালক সেলিম হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়ে পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী ছিল। তার মারা যাওয়ার প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেছে। লোকমুখে শুনেছি আসামি মাঝে মধ্যে প্রকাশ্যে তার এলাকাতে ঘুরছে। কিন্তু পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি গরিব মানুষ তাই হয়তো মেয়ের ওপর নির্যাতন ও তার আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের সঠিক বিচার পাবো না। তাই নিজেই বিচারের দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি।’
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, মামলার তদারকিতে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও গাফিলতি নেই। আসামিদের গ্রেফতার করতে আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছি। আর ওই পরিবারকে বলা হয়েছে আসামিদের সন্ধান পেলে আমাদের জানাতে।
প্রসঙ্গত, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ইভা তার বড় ভগ্নিপতি উপজেলার হলহোলিয়া গ্রামের এখলাস আলীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। এই সুযোগে এখলাস আলী জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় ইভাকে ধর্ষণ করে। পরে ৯ এপ্রিল দুপুরে রামজীবনপুর গ্রামের নিজ বাড়ি ফিরে লোকলজ্জায় ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ইভা আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় এখলাস আলী ও তার পিতা-মাতাকে আসামি করে পুঠিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
সুত্র ইত্তেফাক