শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন
প্রতিদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। কিন্তু এই মারণ ভাইরাসের ওষুধের সন্ধানে হাতড়াচ্ছে গোটা বিশ্ব। দেশে দেশে এ নিয়ে গবেষণা চললেও এখনও পর্যন্ত কোনও খুশির খবর দিতে পারেননি বিজ্ঞানিরা। যদিও হার না মানা সংকল্প নিয়ে দিনরাত এক করে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
করোনার ওষুধের সন্ধান করতে গিয়ে বিশ্ব যখন প্রায় নাজেহাল তখন এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভারতের যোগগুরু রামদেব। এ রোগের প্রতিরোধের উপায় তার জানা আছে বলে দাবি করেছেন পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের প্রতিষ্ঠাতা। সম্পূর্ণ ভেষজ উপায়ে করোনাকে জব্দ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষম ঔষধির নামও উল্লেখ করেছেন তিনি। এর আগে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছিল।
করোনাকে রুখে দেওয়ার মতো গুণ আছে পরিচিত দুই ঔষধি গুলঞ্চ (Giloy) এবং অশ্বগন্ধা (Ashwagandha)। রামদেবের দাবি অনুসারে, ভাইরাস দেহে প্রবেশের পরে সামগ্রিকভাবে শারীরিক ব্যবস্থার ওপর আঘাত হানে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। শরীর দুর্বল হয়। এরপর ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত দেহকোষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দেহকোষে সংক্রমণের এই শৃঙ্খল ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা গুলঞ্চের আছে বলে দাবি করেছেন পতঞ্জলী আয়ুর্বেদের প্রতিষ্ঠাতা।
রামদেব আরো জানান, ইতোমধ্যে করোনা আক্রান্তদের পরীক্ষামূলকভাবে গুলঞ্চ এবং অশ্বগন্ধা দেওয়া হয়েছিল। সুস্থতার হার ১০০ শতাংশ। এমনকি কোনো মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেনি। যদিও ক্লিনিক্ল্য়াল টেস্ট এখনও সম্পূর্ণ হয়নি বলে বলেও তিনি জানিয়েছেন। এটি সম্পন্ন হলেই পতঞ্জলির পক্ষ থেকে বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র গোটা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। শুধু করোনার চিকিৎসা নয়, করোনাকে সমূলে উপড়ে ফেলার ক্ষমতা ভারতীয় আয়ুর্বেদের আছে বলে রামদেবের দাবি।
করোনার চিকিৎসায় আয়ুর্বেদিক ওষুধের উপকারিতা নিয়ে ইতোমধ্যে গবেষণা শুরু করে দিয়েছেন দিল্লি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একদল বিজ্ঞানী।
জাপানের সংস্থা এআইএসটি এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই গবেষণা চালাচ্ছেন তারা। এই যৌথ গবেষক দলের মতে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো সম্ভাবনা অশ্বগন্ধার আছে। যদিও পুরো গবেষণা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। করোনার বিরুদ্ধে আয়ুর্বেদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে, এমন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এখনও পৌঁছতে পারেননি তারা।
সূত্র: এই সময়