মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আবারো ৩ জন নিহত পিরোজপুরের এক জেলের জালে ধরা পড়ল ২০ লাখ টাকার লাক্ষা মাছ কাউখালীতে বঙ্গবন্ধুর ১০৪ তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত ভান্ডারিয়ায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত পিরোজপুরে বাস অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৭ জন নিহত কাউখালীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উদযাপিত কাউখালীতে মৎস্য কার্ডধারী জেলেদের ছাগল বিতরণ ভান্ডারিয়ায় স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত ভান্ডারিয়ায় জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান রাষ্ট্রীয় সম্মান নিয়ে কাউখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের শেষ বিদায় কাউখালীতে ব্রীজ নির্মান কাজ ৫ বছরে শেষ না হওয়ায় জনগনের ভোগান্তি চরমে কাউখালীতে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার একটি অংশ–মহিউদ্দিন মহারাজ (এমপি) মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষার হলে দুই ভাই ভান্ডারিয়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন শাহ বাবুল মারা গেছেন পিরোজপুরে প্রতারণা মামলায় এহ্সান গ্রুপের অফিস সহকারী নাজমুল গ্রেফতার কাউখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু কাউখালীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচারনা ভান্ডারিয়া বিহারী লাল মিত্র পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া
স্বজন ও পরিবারের কেউ এলেন না, স্বামীর মুখাগ্নি করলেন স্ত্রী

স্বজন ও পরিবারের কেউ এলেন না, স্বামীর মুখাগ্নি করলেন স্ত্রী

উমারানীর স্বামী গার্মেন্ট কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ড. দেবাশীষ দাস (৫২) গত রবিবার মারা গেলে সৎকার অনুষ্ঠানে কোনো স্বজন বা পরিবারের সদস্য এলেন না। কিন্তু মৃতের তো মুখাগ্নি করতেই হবে। কোনো উপায় না দেখে শেষতক উমারানী নিজেই স্বামীর মুখাগ্নি করলেন। উমারানী দাস হলেন ময়মনসিংহের সহকারী জেলা ও দায়রা জজ। তার স্বামী ছিলেন ঢাকার ফকিরা গ্রুপের গার্মেন্ট সেক্টরের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান। তার বাড়ি সাভারের শিমুলিয়ায়। ময়মনসিংহের এস কে হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। দম্পতির একটি শিশুপুত্র রয়েছে। এই শিশুর ছোঁয়া কাঠি মুখাগ্নিতে ব্যবহৃত হয়েছে। দেবাশীষের মুখাগ্নি করছেন তার স্ত্রী। এই মর্মস্পশী ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ছবি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ার সবাই সমবেদনা জানাচ্ছেন। বলছেন, করোনা আমাদের এতই অমানবিক করে ফেলল! স্বামীর মৃত্যুর পর বেশ বেকায়দায় পড়েন উমারানী। নিকটজন কেউ সৎকার করতে এলো না। সৎকারে এগিয়ে এসেছেন তিনজন মুসলিম ও দুজন সনাতন ধর্মাবলম্বী।

স্বামী দেবাশীষের দেহটা যখন পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাচ্ছিল তখন উমারানী দাস আর্তকণ্ঠে বলছিলেন, ‘স্বামীর কাছ থেকে বিয়ের সার্টিফিকেট নিলাম না। তার আগেই এখন তার ডেথ সার্টিফিকেট নিতে হবে আমায়। ছোট্ট ছেলেটি ওর বাবাকে খুঁজলে ওকে কী বলব!’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana