মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
উমারানীর স্বামী গার্মেন্ট কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ড. দেবাশীষ দাস (৫২) গত রবিবার মারা গেলে সৎকার অনুষ্ঠানে কোনো স্বজন বা পরিবারের সদস্য এলেন না। কিন্তু মৃতের তো মুখাগ্নি করতেই হবে। কোনো উপায় না দেখে শেষতক উমারানী নিজেই স্বামীর মুখাগ্নি করলেন। উমারানী দাস হলেন ময়মনসিংহের সহকারী জেলা ও দায়রা জজ। তার স্বামী ছিলেন ঢাকার ফকিরা গ্রুপের গার্মেন্ট সেক্টরের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান। তার বাড়ি সাভারের শিমুলিয়ায়। ময়মনসিংহের এস কে হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। দম্পতির একটি শিশুপুত্র রয়েছে। এই শিশুর ছোঁয়া কাঠি মুখাগ্নিতে ব্যবহৃত হয়েছে। দেবাশীষের মুখাগ্নি করছেন তার স্ত্রী। এই মর্মস্পশী ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ছবি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ার সবাই সমবেদনা জানাচ্ছেন। বলছেন, করোনা আমাদের এতই অমানবিক করে ফেলল! স্বামীর মৃত্যুর পর বেশ বেকায়দায় পড়েন উমারানী। নিকটজন কেউ সৎকার করতে এলো না। সৎকারে এগিয়ে এসেছেন তিনজন মুসলিম ও দুজন সনাতন ধর্মাবলম্বী।
স্বামী দেবাশীষের দেহটা যখন পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাচ্ছিল তখন উমারানী দাস আর্তকণ্ঠে বলছিলেন, ‘স্বামীর কাছ থেকে বিয়ের সার্টিফিকেট নিলাম না। তার আগেই এখন তার ডেথ সার্টিফিকেট নিতে হবে আমায়। ছোট্ট ছেলেটি ওর বাবাকে খুঁজলে ওকে কী বলব!’