সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
জহির সিকদার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি সেবা ফেলে সেবা দিচ্ছেন বেসরকারি ক্লিনিকে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে সম্মুখ যোদ্ধা
চিকিৎসকরা। চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন দেশের অনেক চিকিৎসক। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। অধিকাংশ সরকারি চিকিৎসকই নিয়ম মেনে হাসপাতালগুলোতে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
সরকারি হাসপাতালে নামে মাত্র খরচে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করেছেন সরকার। কিন্তু কিছু চিকিৎসক আছেন, যারা সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে সরকারি ডিউটির সময় বেসরকারি হাসপাতালে ছুটে বেড়ান। এর সত্যতা পাওয়া গেল ২৫০শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে। গত তিনদিন সরকারি ডিউটির সময় হাসপাতালের দুতলায় ২১২নং কক্ষে গিয়ে পাওয়া যায়নি নবজাতক ও শিশু রোগ চিকিৎসক আক্তার হোসাইনকে। দুপুর পৌনে একটার দিকে কক্ষে থাকা তার সহযোগী টিপু জানান, ডা. আক্তার হোসেইন শিশু ওয়ার্ড ভিজিটিংয়ে গেছেন এক ঘন্টা আগে। সহযোগীর দেওয়া তথ্য মতে হাসপাতালের ৩য় তলায় শিশু ওয়ার্ডে গিয়েও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওই ওয়ার্ডের নার্স ও রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চিকিৎসক আক্তার হোসেইন বেলা ১১টার দিকে ওয়ার্ড পরিদর্শন করে চলে গেছেন।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে শিশু চিকিৎসক আক্তার হোসেইনকে সরকারি হাসপাতালে ডিউটি ফেলে হাসপাতালের সামনে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ঢুকতে দেখা যায়। আধা ঘন্টা পর ওই হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে তিনি কুমারশীল মোড়ে আরও একটি হাসপাতালে ঢুকে রোগী দেখা শুরু করেন। অথচ এই সময় সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ২১২নং কক্ষের সামনে চিকিৎসকের জন্য সাধারণ রোগীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
একই চিত্র দেখা যায় মঙ্গলবার (৭জুন) দুপুরেও। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে চিকিৎসক আক্তার হোসেইন বলেন, আমি ওয়ার্ড রাউন্ড দিয়ে এই মাত্র বের হয়েছি। আছি হাসপাতালের আশেপাশেই আছি। আবার হাসপাতালে আসব, আমার একটা কাজ আছে। তিনি বলেন, গতকাল (সোমবার, ৬জুন) একটি সিরিয়াস রোগী ছিল তাই বের হয়েছিলাম। মাঠে আমি একাই আছি। অনেক চিকিৎসক নেই, সদরে ও বাইরে আমিই দেখছি রোগী। এটা অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তবে অফিস টাইমে বাইরে যাওয়া উচিৎ না।
২৫০শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক শওকত হোসেন বলেন, আমরা সরকারি অফিস সময়ে চিকিৎসকদের হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসা দিতে নিষেধ করেছি। যদি কেউ ডিউটি ফেলে বাইরে রোগী দেখেন, নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা