বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:১৬ অপরাহ্ন
জহির সিকদার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর সদরের বড় বাজারে একটি রঙের দোকানে রোববার রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দোকানের সকল মালামাল পুড়ে গেছে। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোকানের মালিক।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রোববার রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে নবীনগর সদরের বড় বাজারে মার্কেটের তিনতলা ভবনের নিচতলায় মোহন হার্ডওয়ারের দোকানের ভিতর থেকে পোড়া গন্ধ বের হতে দেখে দোকানীর ছোট ভাই ডার বড় ভাই কে খবর দিলে সে বাজারে ছুটে এসে তালা ভেঙ্গে একটি শার্টার খোলার পরপরই আগুনের লেলিখান শিখা দেখতে পায়। ঐ সময় গোটা দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দোকানের ভিতর থাকা রং ও বিভিন্ন ক্যামিকেলের ড্রাম বিস্ফোরণ হতে শুরু করলে আগুন আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। তখন গোটা বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় শত শত লোকজন প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন, ততক্ষণে দোকানের সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে সন্ধ্যায় ধুপ দেয়া থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
আগুন নেভাতে আসা লোকজন অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয়রা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর এসেছে ফায়ার সার্ভিস। নবীনগরে একটি ফায়ার সার্ভিসের অফিস রয়েছে কিন্তু আগুন নেভানোর কোনো উপকরণ নেই। আজকে যদি নবীনগর ফায়ার সার্ভিস কার্যকর থাকতো তা হলে এতো বড় ক্ষতি হতো না।
দোকানের মালিক মোহন মিত্র বলেন, আমি সর্বশান্ত হয়ে গেছি, আমার প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। দোকানের কোনো ইন্সুরেন্স করা ছিল না বলে তিনি জানান।
নবীনগর পৌরসভার মেয়র শিব শংকর দাস বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে এসে আমার অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাধ্যমে একটি শ্যালো মেশিন এনে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করি। ফলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আমাদের চেষ্টা ছিলো এই দোকানের আগুন যেন অন্য দোকানে যেতে না পারে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম, নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর, ওসি তদন্ত রুহুল আমিন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে সাথে সাথে মুরাদনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি, এবং স্থানীয়ভাবে আগুন নেভানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আল্লাহর রহমতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, নবীনগর ফায়ার সার্ভিস অফিসের লোকবল ইতিমধ্যে এসে গেছেন, সরঞ্জামও কয়েক দিনের মধ্যে চলে আসবে বলে জানতে পেরেছি।