পিরোজপুর নাজিরপুরে ৯নং কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে টাকার বিনিময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ও ত্রাণের ঘর উত্তোলনের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিনে স্থানীয় জনগন জানান কুসুম রানী মন্ডল স্বামী নিকুঞ্জ মন্ডল সে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আমাদেরকে উদ্ভুদ্ধ করেন। পরবর্তীতে সে জানান বিদ্যুৎ অফিসে কথা হয়ে গেছে এবং প্রতি ঘর থেকে সংযোগের জন্য ৩০০০/= (তিন হাজার) টাকা করে উত্তোলন করেন। এভাবে ২৩টি ঘর থেকে টাকা উত্তোলন করেন। তার এই কাজে সহযোগি হিসেবে তিনি হীরালাল মন্ডলকে নিয়ে , সহযোগী পার্টনার করেন ,পিতা কার্তিক চন্দ্র মন্ডল কে নিয়ে টাকা উঠাতে শুরু করেন। হীরা লাল মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি ঘর প্রতি ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা করে উত্তোলন করি। কুসুম রানী ও হীরা লাল মন্ডলের কথায় গরমিল হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষেপে যায়। তারা বলেন আমাদের নিকট তারা ৩০০০ হাজার টাকারও বেশি নিয়েছে। তাছাড়া হীরা লালের সাথে কুসুম রানীর অন্য রকম সম্পর্ক আছে। অন্যদিকে একই গ্রামের শ্যামল মন্ডল জানান ,আমার ঘর না থাকায় সহিদ মেম্বার আমার নামে ত্রাণের ঘরের জন্য নামের তালিকা করে নেন। ঘর আসলে পরে মেম্বার সবকিছু হীরা লালকে বুঝিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে সহিদ মেম্বার মুঠোফোনে বলেন ঘরের তালিকা আমি করেছি কিন্তু ঘর তৈরী করে দিয়েছে উপজেলার পিআইও। ঘরটিতে সুপারি গাছের খুটি এবং বাশ ও কিছু কাঠ দিয়ে টিনের একটি ঘর তুলে দেয় যা বতর্মানে ভাঙনের কবলে। শ্যামলকে জিজ্ঞাসা করলে সে ভয়তে ভয়তে জানান, আমার কিছু আবার হবে নাকি,ঠিক পাশের এক লোক আশ্বাস দেন কিছু হবেনা মিডিয়াকর্মী সাথে থাকলে কোন ভয় নেই ।সে জানান ঘর বাবদ হীরা লাল আমার কাছ থেকে ৭০০০ হাজার টাকা নিয়েছে ও বলেন অনেক খরচা হয়েছে । শ্যামল মন্ডল বলেন ,ভাইরে আমার দিন আনতে পান্তা ফুরায় আমি দুটি ছেলে মেয়ে আমার স্ত্রী প্রতিবন্ধীও বোবা কথা বলতে পারো না ।এবং আমি খিলকি পান হেঁটে হেঁটে বিক্রি করি, অনেক কষ্ট পর ৭০০০ টাকা দিয়েছি। হীরালাল মণ্ডল বলেন এবং ৭০০০ টাকা দিতে হবে না দিলে ঘর পাওয়া যাবে না। সরজমিন থেকে ফিরে আসার পর রাতে স্থানীয় কবির বাহাদুর যিনি নিজেকে মন্ত্রীর প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে ফোন করে এবং ফোনে বলেন ,এলাকার যত কাজ আমি করছি যা কিছু বিষয়ে আমি দেখি এবং এলাকায় ঢুকতে হলে তার অনুমতি নিতে হবে যা একজন সংবাদ কর্মীর জন্য হুমকি স্বরূপ। কবির বাহাদুর বিদ্যুৎ ও ত্রাণের ঘর সম্পর্কে একজন সংবাদ কর্মীর কি করার আছে বলে প্রশ্ন করে। কবির বাহাদুর সংবাদ কর্মীকে সাহায্য না করে উল্টো সংবাদ কর্মীর উপর ক্ষেপে যায় এবং বলে ৫নং ওয়ার্ডের উন্নয়নমূলক কাজের তালিকা তৈরি করি আমি যা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের এক ধরনের হেয় করা। কবির বাহাদুর এলাকায় হীরা লাল কুসুম রানী ও সহিদ মেম্বারকে নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে যার কারণে এলাকার মানুষ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পায়। এলাকার লোকজন বলেন, হীরালাল মন্ডল একের পর এক অপকর্ম বেড়াচ্ছে এবং কেউ দেখার বলার নেই। যদি কেউ কিছু বলতে গেলে সে উল্টা হুমকির মুখে রাখেন।