মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ন
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ৯ উপজেলার ফার্মেসী (ওষুধের দোকান) গুলোতে তরল এ্যান্টিসেপ্টিক মিলছে না। কসমেটিক্স অথবা মুদি দোকানে দু’একটি তরল এ্যান্টিসেপ্টিক মিললেও তা চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। ঘরবাড়ির পরিবেশ জীবানুমুক্ত ও পরিস্কার রাখতে স্যাভলন বা ডেটল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। দেশে করোনার ক্রান্তিকালে এই সংকট নিরসনের জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক গৃহবধূ জানান, অনেক কষ্টে তিনি এসিআই কোম্পানীর ১১২ এমএল’র এক বোতল স্যাভলন ১০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। কিন্তু বোতলের গায়ের মূল্য লেখা ৪৪ টাকা। কারোনা আসার আগে ওই দামেই তিনি কিনতেন। এখন দ্বিগুনেরও বেশি দামে কিনতে বেগ পেতে হচ্ছে। এর প্রতিকার হওয়া দরকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মোরেলগঞ্জের বাজারের ফার্মেসির মালিকরা জানান, প্রায় তিন মাস ধরে এ্যালোপ্যাথি ওষুধের দোকানগুলোতে স্যাভলন, ডেটলের সংকট দেখা দিয়েছে। কোম্পানী হতে সরবরাহ নেই। খুলনা হতে যারা আনছেন তাদের স্যাভলনের বোতলের গায়ের দামের চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। গ্রাম পর্যায়ের সাধারণ ক্রেতারা এই মাত্রাতিরিক্ত দামে স্যাভলন কিনতে চায় না। ফলে প্রায়শ ক্রেতা-বিক্রেতার ঝগড়া দেখা যায়।
বাগেরহাটের ৯ উপজেলারও মোরেলগঞ্জ সহ অন্যান্য এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংকটের সুযোগে বাজারের কনফেকশনারী ও কসমেটিকসের কিছু দোকানে ওই স্যাভলন মাত্রাতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। কোন কোন দোকানে এসিআই কোম্পানীর স্যাভলনের মতো দেখতে ভিন্ন কোম্পানীর স্যাভলনও রয়েছে বলে তারা জানান। তবে তরল এই জীবানুনাশক পাওয়া না গেলেও, এসিআই’র স্যাভলন এবং রেকিট বেনকিজার কনজ্যুমার কেয়ারের ডেটল সাবান সঠিক দামে পাওয়া যাচ্ছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুফতি কামাল হোসেন জানান, করোনা ভাইরাসসহ যে কোন জীবানুনাশকে আসল স্যাভলন বা ডেটল খুবই কার্যকর। এক চামচ স্যাভলন বা ডেটলের সাথে ১০ভাগ পানি মিশিয়ে ঘরের মেঝে ধোয়ামোছা, কাপড় পরিস্কারসহ বাহ্যিক পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহার করা হয়। এটা পর্যাপ্ত পরিমাণ সুলভে বাজারজাত থাকা দরকার।
এসিআই কোম্পানী কিংবা রেকিট বেনকিজার কনজ্যুমার কেয়ারের কোন প্রতিনিধিকে পাওয়া যায়নি এই বিষয়ে মতামতের জন্য ।