বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রেম করে বিয়ে! অতঃপর যৌতুক দাবী করে নির্যাতন করার অপরাধে ভৈরব থানায় মামলা দায়ের করেছে নির্যাতিতার ভাই।
গতকাল সোমবার ২৪ আগট রাতে স্ত্রী তুন্নি বেগমের ভাই রানা মিয়া ৫ জনকে আসামি করে
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এই মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ রাতেই তুন্নির শুশুর মাহাবুব মুছা (৫২) কে শহরের কমলপুরের বাসা থেকে গ্রেফতার করে। তার স্বামীর নাম তানিম আহমেদ এবং সে পৌর শহরের কমলপুর এলাকার বাসিন্দা।
তুন্নির বাবার বাড়ী একই উপজেলার মৌটুপি গ্রামে। মামলায় স্বামী শুশুর ছাড়াও শ্বাশুড়ী হাফসা বেগম ও দেবর আবদুল্লাহ, অলিউল্লাকে আসামী করা হয়। গ্রেফতারকৃত শুশুর মাহাবুব মুছাকে আজ মঙ্গলবার সকালে কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তুন্নি বেগমের সাথে তার স্বামী তানিম আহমেদের বিয়ের আগে প্রেম ছিল। প্রেমের সূত্র ধরে গত ৬ আগস্ট পারিবারিকভাবে দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের ৪ দিন পর গত ১০ আগস্ট তানিম তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক বাবত ৩ লাখ টাকা দাবী করে। দাবীকৃত টাকা দেয়া সম্ভব নয় জানালে তুন্নিকে মারধর করতে থাকে তার স্বামী। তারপর একইভাবে টাকার দাবীতে তার শ্বাশুড়ী, শুশুর,ও দেবরগন তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগে বলা হয়।
মামলার বাদী তুন্নির ভাই রানা মিয়া জানান, দুজনের প্রেম মেনে নিয়ে পারিবারিকভাবে আমরা তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দিয়েছি। তখন তারা যৌতুকের টাকার দাবী করেনি। বিয়ের ৪ দিন পর ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে স্বামী। আমার বোন টাকা দেয়ার কথা অস্বীকার করলে তাকে অমানষিকভাবে নির্যাতন করা হয়। তাই বাধ্য হয়েই থানায় মামলা করেছি।ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ শাহিন জানান, তারা দুজন প্রেম করে বিয়ে করার ৪ দিন পর যৌতুক দাবী করে স্ত্রীকে মারধোর করে স্বামী। এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়।
মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।