রবিবার, ২৬ Jun ২০২২, ১০:৫৮ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে প্রতিবন্ধীর মৃত্যুকে হত্যা নাটক বানাতে চেয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামে বড়গোষ্টির ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে প্রতিবন্ধী আনোয়ার হোসেন মারা যাওয়ার পর থেকে চলছে নাটক সাজানোর কাজ।
এ নাটক সাজিয়ে প্রতিপক্ষ বেপারী বাড়ির লোকজন কে ফাঁসানোর জন্য নানা ধরণের অভিনয় উপস্থাপন করে যাচ্ছে বড়গোষ্টির শাহাদাৎ হোসেন বাক্কি,শরিফ, মিলন, সেলিম, মিলি, সজিব, করিম, হৃদয়সহ তাদের লাঠিয়াল বাহিনী।
অভিনয়ের মূল ডায়ালগ হচ্ছে- আনোয়ার হোসেন কে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। তাই স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যা হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন গ্রামের একটি মহল।
এমন কী আনোয়ার হোসেনের লাশ নিয়ে বানিজ্য করার পায়তারাও চলছে বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে,
নিহত আনোয়ার হোসেনের বোন তাসলিমা জানান, আমার ভাই প্রায় ৩-৪ বছর যাবত কিডনি ও হৃদরোগের মত জটিল রোগে ভুগছিলেন। গত এক দুই সপ্তাহ ধরে তার শারীরিক অবস্থা দিন দিন আরো অবনতির দিকে যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার (১০ই সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতিকালে ভাই আমাকে বলেন,বোন আমি মারা গেলে আমার প্রতি তোমরা কোন দাবি রাখিওনা, এমন কথা বলেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এখন ভাই এর স্বাভাবিক মৃত্যুকে নিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাসাতে বাড়ীর মধ্যে শুরু হয়েছে প্রতিবন্ধী মৃত্যু নিয়ে হত্যার নাটক।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান,
গত রমজান মাসে মোবাইলে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে যাত্রাপুর গ্রামের সেলিম ও সজিবের সঙ্গে প্রতিপক্ষ বেপারী বাড়ির সায়েদুর রহমানের ভাতিজা আল আমিনের মারামারি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে গত ২ আগস্ট রবিবার সকালে বড়গোষ্টির লোকেরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাসেম ব্যাপারীর বাড়িঘরে হামলা করে ১৮টি বাড়ি ভাংচুর করে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ও জানান।
এই ঘটনার পর হাসেম ব্যাপারীর ভুক্তভোগীরা আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই প্রতিপক্ষ বড়গোষ্টির লোকেরা মামলা তুলে নিতে ভূক্তভোগীদের প্রাণ নাশের হুমকি ও ঘটনার উল্টো মোড় নিতে ও হাসেম ব্যাপারীর বাড়ির লোকজনকে হয়রানি করতে বিভিন্ন মিথ্যা ঘটনা সাজানোর চেষ্টা করছেন বলেও জানান তারা।
এই ঘটনায় ৫ আগস্ট বুধবার হাসেম ব্যাপারীর বাড়ির মোর্শেদ মিয়ার স্ত্রী আশুগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ পত্র দায়ের করেন ।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে আবু বক্কর জানান,বড়গোষ্টির লোকেরা পূর্ব পরিকল্পিতভারে আমাদের উপর হামলা করে আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। আমরা এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। মামলা করার পর থেকেই বড়গোষ্টির লোকেরা ঘটনার উল্টো মোড় নিতে বিভিন্ন প্রকার সাজানো নাটক করছে এবং আরো নাটক করার চেষ্টাও চালাচ্ছে।
তাই এখন প্রতিবন্ধি আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ বেপারী বাড়ির লোকজন কে ফাঁসানোর জন্য লাশ নিয়ে বানিজ্য করার পায়তারাও চলছে। কেউ বলেছে হৃদরোগের কারনপ মৃত্যু হয়েছে। আবার কেউ বলেছে প্রতিপক্ষের আঘাতে মারা গেছে। আবার অনেকে ধারণা করছেন প্রতিক্ষকে ফাঁসানোর জন্য আনোয়ার হোসেন কে হত্যা করা হয়েছে হিসেবে জাহির করেছেন প্রতিপক্ষ বড়গোষ্টির লোকেরা।
বর্তমানে আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সে প্রতিপক্ষের আঘাতে মারা গেছে নাকী হৃদরোগ জনিত কারণে মারা গেছে? তবে এলাকাবাসীরা জানান, আনোয়ার হোসেন হৃদরোগের কারণে মারা গেছেন।
এছাড়া একাধিক সুত্রে ও এ কথা যানা যায়।
প্রতিপক্ষ সাইদুর রহমান জানান,আামাদেরকে ফাঁসানোর জন্য বড়বাড়ীর শাহাদ, হোসেন, বাক্কি , শরিফ, মিলন,সেলিম,মিলি,সজিব,করিম,হৃদয়সহ তাদের লাঠিয়াল বাহিনী মিথ্যা মামলাসহ নানা ধরণের হয়রানি করে চলেছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান অসুস্থ ব্যক্তি মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হয়ে বলেন, কি কারনে মারা গেছে তা এখনো জানা যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।