শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা
আশুগঞ্জের সন্তান মুফতী মিজান নিখোঁজের ১৪দিনেও উদ্বার হয়নী। এ জন্য তার পরিবারের মাঝে হতাশার ছায়া বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য যে, নিখোঁজ হওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ ও হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক ছাত্র ও তরুণ আলেম মুফতী মিজানুর রহমান কাশেমীর সন্ধান চেয়েছে তার পরিবার। পরিবারের দাবি, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তার পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিখোঁজ ছাত্র মুফতী মিজানুর রহমান কাসেমীর পিতা আব্দুল ওয়াহাবের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ভাইড়া ভাই এস এস এম সায়েম। তিনি বলেন, মুফতী মিজানুর রহমান কাসেমী একজন তরুণ উদীয়মান মিষ্টভাষী বক্তা ছিলেন । অল্প সময়ে তিনি এলাকার মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন। গত এক বছর যাবত তিনি হাটহাজারী চারিয়া কালা বাদশা জামে মসজিদের খতিব ছিলেন। গত ১লা সেপ্টেম্বর তিনি হাটহাজারী থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু এর পর থেকে তার আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফেরার দিন বিকেলে তার বন্ধু শওকতকে ফোনে জানান, চারজন লোক তাকে আটকিয়ে অবান্তর প্রশ্ন করছে। শওকত তার পরিবারকে বিষয়টি জানান। তবে পরে ওই নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এই বিষয়ে যোগাযোগ করলে বলা হয় হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে হবে। তাদের কথা মত আমরা সেখানে গিয়ে একটি জিডি করি। জিডি অনুযায়ী মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাকিং করে সিলেটের জকিগঞ্জে আছে বলে জানা যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তার কোন প্রকার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এই অবস্থায় আমরা ডিবি ও ভৈরব র্যাব ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু অদ্যাবধি র্যাব থেকে ও এ বিষয়ে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছিনা।
র্যাবের কাছে করা অভিযোগে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন হিসেবে মুফতী মিজানুর রহমান কাসেমীর বন্ধু শওকত ও মুনিরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কারণ মিজানুর রহমান ও শওকত একই মসজিদ এবং ঈদগাহ মাঠের খতিব ছিলেন। শওকতের কথায় সন্দেহজনক। তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তথ্য উদঘাটন করা যেতে পারে।
১৪দিন হয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোন সন্ধান দিতে পারেনি মুফতী মিজানুর রহমান কাসেমীর। সে জন্য তারা উদ্বিগ্ন বলেও জানান।
নিখোঁজ মুফতি আশুগঞ্জ উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিখোঁজ মুফতী মিজানুর রহমান কাসেমীর পিতা আব্দুল ওয়াহাব ও কাজি এরশাদুল হক সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ্য।