সালমান রাজু,বিশেষ প্রতিনিধি
বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র ভাবে হামলা করে একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা।
অত্র বিভাগের স্টাফ মিজানুর রহমান বাচ্চুকে কুপিয়ে আহত করে৷ ডিপার্টমেন্ট ভাংচুর করে পালিয়ে যায় সর্ন্ত্রাসীরা। আহত বাচ্চুকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সেবাচিম)ভর্তি করেছে তার অফিস সহকর্মীরা।
বুধবার দুপুর ১.৩০মি. এর দিকে একদল উঠতি বয়সী সর্ন্ত্রাসীরা মুখোশ পরে কলেজে প্রেবেশ করে, সমাজকল্যাণ ডিপার্টমেন্টে এসে এই ঘটনা ঘটায়।
কলেজের সমাজকল্যান ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর আব্দুস সবুর বলেন, ১.৩০মি. এর দিকে মুখোশধারী উঠতি বয়সী ১৫/২০জন ব্যক্তি দেশীয় ধারালো অস্ত্র ছুড়ি, চাপাতি, রামদা, হকস্টিক ও রড নিয়ে সমাজকল্যান বিভাগে প্রবেশ করে। এবং ডিপার্টমেন্ট এলোপাতাড়ি ভাংচুর করে এবং এসময় তারা আমাদের স্টাফ মিজানুর রহমান বাচ্চুর নিচে রাখা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
সর্ন্ত্রাসীরা দ্রুত দ্বিতীয় তলায় উঠে মিজানুর রহমান বাচ্চুকে মারধর করে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপ শুরু করে, এতে বাচ্চু গুরুতর আহত হয়। পাশাপাশি বিভাগের অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। মুখোশধারী সর্ন্ত্রাসীরা আমাদের বিভাগের দুইটি টিভি, কম্পিউটার সহ বিভাগীয় প্রধানের রুম এবং সকল চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। পুরো ডিপার্টমেন্ট লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। পরে তারা সিসি টিভি রেকর্ড ও মেশিন নিয়ে যায়। বাচ্চুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে কলেজ প্রশাসন জানায় তারা এই হামলার কি কারণ সেই সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. গোলাম কিবরিয়া।
বি এম কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোলাম কিবরিয়া জানান, কে বা কারা এবং কেন এই হামলা করেছে সেই বিষয়টি আমরা জানিনা। পুলিশ তদন্ত করছে এবং এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে সমাজকল্যাণ ডিপার্টমেন্টের স্টাফ আহত মিজানুর রহমান বাচ্চু জানান, হঠাৎ করে কে বা কারা কেন এবং কি কারণে হামলা চালিয়েছে জানিনা এবং তিনি কাউকে চেনেন না বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন তার সাথে কারও পূর্বে কোনো শত্রুতাও ছিল না।
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত বরিশাল মেট্রপলিটন পুলিশের একটি ফোর্স কলেজে প্রবেশ করে পরিবেশ নিয়র্ন্ত্রন করেন। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ওসি নুরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে দ্রুত তদন্ত চলছে। কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। তবে খুব শিগ্রই সর্ন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সর্ন্ত্রাসীদের এরকম হামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএম কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. গোলাম কিবরিয়া, বিএম কলেজ বাকসুর ভিপি মঈন তুষার, কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ ও সাধারন ছাত্রছাত্রীরা।