শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:১২ অপরাহ্ন
জহির সিকদার, রাহ্মণবাড়িয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় আম কাঁঠাল লিচুর পর এবার ফলের মওসুমে কৃষক মাল্টা চাষে কৃষি অধিদপ্তর কর্তৃক ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা পাওয়ার কারনে গতবছরের তুলনায় এবার মাল্টাফল ও ড্রাগন উৎপাদন বেশী হয়েছে। কৃষকদের অতি উৎসাহের কারনে বিদেশী ফল ড্রাগন চাষে এগিয়ে এসেছেন উদ্যোক্তারা । এ বছর ফলের মৌসুমে মাল্টা ও ড্রাগন চাষ করে লাভবান হয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ সুত্র জানায়, চলতি মওসুমে জেলায় ৭৬হেক্টর জমিতে মাল্টা ও ৩ হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষ করা হয়েছিল । আবহাওয়া অনুকুল থাকায় ও সীমান্তবর্তী এলাকার মাটির গুনগত মান ঠিক থাকার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পূর্বাঞ্চলের তিন উপজেলায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন ফল উৎপাদনে দেশে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে। জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে বিজয়নগর, কসবা ও আখাউড়ায় আম,কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারার পর চলতি মৌসুমে বারি মাল্টা-১ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। ৭৬ হেক্টর জমিতে ১হাজার ২শত ৯২মেট্রিক টন মাল্টার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা কৃষি বিভাগের।
অন্যদিকে বিদেশী ফল ড্রাগন চাষ করে কৃষকরা ও লাভবান হওয়ায় চলতি মৌসুমে ৩ হেক্টর জমিতে বারি ড্রাগন -১ এর ৩.১২ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ড্রাগন ফল হৃদরোগ, ডায়বেটিস সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সক্ষম বলে জানিয়েছেন কৃষিবিদরা। উৎপাদন খরচ যেমন কম তেমনি ফুল থেকে মাত্র ৪৫ দিনে ফল ও পাওয়া যায়। তাছাড়া লাল মাটির কারনে জেলার সীমান্তবর্তী এ উপজেলাগুলোকে মিষ্টি ফলের এলাকা বলে অনেকেই মনে করেন। এ তিন উপজেলার ফল যেমনি ফরমালিন ও বিষমুক্ত তেমনি খেতেও বেশ সুস্বাদু হওয়ার কারনে দেশ বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছে ইতিমধ্যেই অত্র এলাকার উৎপাদিত ফল। দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা এসে বাগান থেকে দামদর করে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার মাল্টা ফল আশপাশের জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হচ্ছে।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার জানান, দিনে দিনে এ জেলায় ফলের আবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জেলার ৩হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে ফল চাষ হচ্ছে। বর্তমানে আম, কাঁঠাল, লিচু ও পেয়ারার পাশাপাশি মাল্টা এবং ড্রাগন চাষ করে সফল হওয়ায় কৃষকরা ও লাভবান হয়েছে। সরকারি ভাবে মাল্টা ও ড্রাগন চাষে তাদের আরও উৎসাহ দেওয়া হবে ও তাদেরকে আরো উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।