বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন
জহির সিকদার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক নির্মাণে অধিগ্রহণকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ৪৮ বছর পরও পাননি ক্ষতিপূরণের বকেয়া টাকা। তাই ৪৮ বছর আগে অধিগ্রহণকৃত ভুমির বকেয়া টাকা বর্তমান মৌজামূল্যে প্রদানের দাবীতে জনসমাবেশ ও মানবন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জে সোহাগপুর এলাকায় তারা এ মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষতিগ্রস্ত ভুমি মালিক হাজী মোঃ ছফিউল্লাহ মিয়া এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তারা ক্ষতিপুরনের বকেয়া টাকা দ্রুত বর্তমান মৌজা মুল্যে পরিশোধের দাবী জানান এবং এর ব্যতয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণসহ দাবী আদায়ে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসুচি পালন করার ঘোষণা দেন। জনসমাবেশে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ফোরামের সভাপতি মোঃ ইসরাইল মৃধার সভাপতিত্বে ও বাবুল মাস্টারের সঞ্চালনায় বক্তব রাখেন ক্ষতিগ্রস্ত ভুমি মালিক হাজী নাসির মিয়া, মো. ইলিয়াছ আলী, মাওলানা নুরে আলম আঃ আজিজ, হুমায়ুন কবীর ভুইয়া, মোঃ দানা মিয়া, মোঃ আজহার ভুইয়া, উসমান গণি, হাজী আমিনুল ইসলাম ও মোঃ আঙ্গুর খা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, রবিউল সানি প্রমুখ। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক নির্মাণের সময় ১৯৭২-৭৩ এবং ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরে দু‘দফায় আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর, সোহাগপুর, বাহাদুরপুর, কামাউরা,দুর্গাপুর, খড়িয়ালা এবং বগইর মৌজার প্রায় ৩৬০ একর ভুমি তৎকালিন মৌজামুল্যে ( প্রতি একর ২৭ হাজার টাকার কম) অধিগ্রহন করা হয়। কিন্ত অর্থ বরাদ্দ স্বল্পতার কারনে কিছু টাকা পরিশোধের পর অবশিষ্ট টাকা দিতে কালক্ষেপন করে। এতে অনেক সংখ্যক কৃষক ক্ষতিপুরণের আংশিক টাকা পায়নি। চলতি বছর ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ফোর লেনে উন্নীত করণের কাজ শুরু হওয়ায় তারা বর্তমান মৌজামুল্যে বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য গত ১৬ সেপ্টেম্বর ৮৩ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের স্বাক্ষর সংবলিত আবেদন জেলা প্রশাসন বরাবর প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে আবেদনের কপি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে প্রদান করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মহাসড়কে অবস্থান ধর্মঘট করাসহ আইনি পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন তারা।এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পংকজ ভৌমিক বলেন, কৃষকদের আবেদনের কপি পেয়েছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা এলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তা অবহিত করা হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা অঞ্জন দাস বলেন, অধিগ্রহণের নিয়ম অনুসারে যখন যে আইনে অধিগ্রহণ করা হয় সেই আইনে ভূমি মালিকরা ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন। কৃষকদের আবেদন পেয়েছেন স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনা করছেন।