শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:০৭ অপরাহ্ন
করোনা পরীক্ষা করতে আসা রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ছবি তুলতে গিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এক সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন।এ সময় হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে ওই সাংবাদিককে অবরুদ্ধ
লাঞ্ছনার শিকার অভিজিৎ ঘোষ ঢাকা পোস্টের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে হাসপাতালের আউটডোরের টিকিট কাউন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
সরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি সরকার ১০০ টাকা নির্ধারণ করলেও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এক হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীদের।
ভূঞাপুর উপজেলা থেকে করোনা পরীক্ষা করতে আসা সজীব হোসেন বলেন, আমি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। কাজে যোগদানের জন্য করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। করোনা পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতালের আউটডোরে এলে এক হাজার টাকা দাবি করেন কাউন্টার ইনচার্জ। এক টাকাও কম হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।
টাঙ্গাইল সদরের বাসিন্দা হৃদয় মন্ডল বলেন, করোনা পরীক্ষা করতে এলে আমার কাছে এক হাজার টাকা চান কাউন্টার ইনচার্জ রুবেল; কম দিতে চাইলে অন্য হাসপাতালে যেতে বলেন।
সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিচ্ছেন কাউন্টার ইনচার্জ রুবেল। আমার সামনে তিনজনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিয়েছেন। ১০০ টাকার করোনা পরীক্ষার ফি কেন এক হাজার টাকা জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি রুবেল।
এ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নেওয়ার ছবি তুলতে গেলে আমাকে ঘিরে ধরেন টিকিট কাউন্টারের সহকারী সোহাগ ও ইনচার্জ রুবেল। তারা আমাকে টেনেহিঁচড়ে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তার (আরএমও) কক্ষে নিতে চান। নিতে না পেরে টিকিট কাউন্টারে আমাকে অবরুদ্ধ করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা আমাকে উদ্ধার করেন।
টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ মো. রুবেল বলেন, অনুমতি ছাড়া হাসপাতালে ছবি তোলা নিষেধ। ওই সাংবাদিক ছবি ও ভিডিও তুলছিলেন। তাকে আরএমওর রুমে যেতে বলা হয়েছিল, অবরুদ্ধ করা হয়নি।
টাঙ্গাইল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, বিষয়টি জানার পর সাংবাদিককে আমার রুমে নিয়ে আসতে টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জকে নির্দেশ দিই। কিন্তু সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করা হয়নি। করোনা পরীক্ষার টিকিটের জন্য বাড়তি টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। হাসপাতালের কেউ নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্র dhakapost.com