শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
ক্সবাজার চকরিয়া পৌসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে এক সাংবাদিকের পৈতৃক বসতভিটা জায়গা দখলে নিতে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বসতবাড়ির সীমানা ভাংচুর ও তান্ডবের অভিযোগ উঠেছে। এসময় সন্ত্রাসীরা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে দখলের চেষ্টায় সন্ত্রাসীদের মারধরে সাংবাদিকের বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করে আহত হয়েছে। আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পরে ভুক্তভোগী পরিবার পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করলে খবর পেয়ে থানার এসআই কামাল উদ্দিনের নেতৃত্ব একদল পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিদর্শন করে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রনে আনে। শুক্রবার (৫মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডস্থ হালকাকারা এলাকায় সাংবাদিক বেলাল উদ্দিনের পৈত্রিক বসতভিটায় ভাংচুর ও হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আহতরা হলেন, চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডস্থ হালকাকারা এলাকার মৃত হাজী ফেরদৌস আহমদের স্ত্রী ও সাংবাদিক বেলাল উদ্দিনের বৃদ্ধ মা আনোয়ারা বেগম (৬২), তার স্ত্রী সানজানা ইয়াছমিন (৩৫) ও ছেলে মোঃ সামিন মুহতাদি ইয়ামিন (১৭)।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডস্থ হালকাকারা এলাকার মৃত হাজি ফেরদৌস আহমদের মালিকানাধীন জায়গায় তার বড় ছেলে সাংবাদিক একেএম বেলাল উদ্দিন বসতঘর নির্মাণ করে তার পরিবার নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসছে। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে তার বসতঘরে পুরুষশূন্য থাকার সুবাধে একই এলাকার মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে বাদশা মিয়া প্রকাশ টেক বাদশা, তার ছেলে মহিউদ্দিন, কামাল হোসেন, বাদশা মিয়া’র মেয়ে ফাতেমা ও তার দুই পুত্রবধূসহ ১২/১৪ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে বসত বাড়িতে ঢুকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়ে সাংবাদিকের বসতঘরের ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করে তান্ডব চালায়। এসময় সাংবাদিক বেলালের বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে মারধর করে আহত করা হয়। এরপর ছেলে ইয়ামিন এগিয়ে তাকেও মারধর করে। পরে খবর পেয়ে সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন ও স্থানীয়া এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পরে সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরা জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করলে খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশের একটি টিম (এস আই) কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিদর্শন করেন। ওই সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। ভুক্তভোগী দৈনিক ভোরের ডাক প্রতিনিধি ও চকরিয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক একেএম বেলাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় আমি ও আমার সন্তানসহ জুমার নামাজে থাকায় স্থানীয় মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে বাদশা মিয়া প্রকাশ টেক বাদশা ও তার ছেলে মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে ছেলের পুত্রবধুসহ ১২/১৪ জনের একদল সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে বসত বাড়িতে ঢুকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়ে বসতঘরের ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করে তান্ডব চালায়। সন্ত্রাসীদের হামলার সময় আমার বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে মারধর করে আহত করা হয়। ছিনিয়ে নিয়েছে সাংবাদিকের স্ত্রীর দুই ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন ও একটি এনড্রয়েড মোবাইল সেট। অভিযুক্তরা বর্তমানেও জমি জবর দখল, ছেলেকে অপহরণ ও প্রাণনাশসহ বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেন।ইতিপূর্বে সীমানা বিরোধ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদীর কাছে বিচারাধীন ছিল। ঘটনার পর ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল মজিদ ও কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি মূলক একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। অভিযুক্তরা ইতিপূর্বে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিমকে প্রকাশ্যে হত্যার চেষ্টায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছিল।
ঘটনার বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ঘটনার বিষয়টি শুনার পর পরই তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক বেলাল উদ্দিনের দায়েরকৃত অভিযোগটি গ্রহণ করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কক্সবাজারের চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ তফিকুল আলম বলেন, পুলিশ তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তায় পুলিশ টহল জোরদার থাকবে।
সুত্র vorersangbadprotidin.com