শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:২৪ অপরাহ্ন
করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে কঠোর লকডাউন চলছে। কিন্তু রাজধানীতে যানবাহন ও পথচারীদের দেখে লকডাউন বোঝার উপায় নেই। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকায় সড়কে তীব্র যানজট দেখা গেছে। এই যানজটের দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন লকডাউনেও খোলা অফিসগামী যাত্রীরা।
রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামটর, শাহবাগ ও পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রাইভেটকার, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও রিকশা চলছে দেদারসে। এ সময় ফার্মগেট থেকে মতিঝিল আসতে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লেগেছে মুরাদ হাসান নামের এক ব্যক্তির। মতিঝিল যেতে ৫ বার সিগনালে পড়তে হয়েছে মুরাদকে।
তিনি বলেন, যানজটের কারণে কারওয়ান বাজারের মোড় পার হতে তিনবার সিগনালে পড়তে হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তেজতুরী বাজার, পান্থপথ ও ধানমন্ডিসহ আশপাশের বিভিন্ন সড়কে রিকশা চলাচল আগের তুলনায় অনেক বেশি বেড়েছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে রিকশাচালক সোহেল রানা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এই লকডাউনে রিকশা বেশি চলছে। তবে আয় কম। কারণ মানুষ রিকশয় উঠতে চায় না। আর উঠলে ভাড়া কম বলে।
এদিকে ঢাকায় বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্টগুলোতে পুলিশের উপস্থিতি কম কম দেখা গেছে। চেকপোস্টগুলোতে মুভমেন্ট পাসও চেক করতে দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। সোমবার মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানিয়ে বলেন, বর্তমানে বিধিনিষেধ যেভাবে আছে, সেগুলো বলবৎ থাকবে। তবে শহরের ভেতরে বাস বা গণপরিবহন চলাচল করবে। কিন্তু দূরপাল্লার বাস আগের মতোই বন্ধ থাকবে।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম দফায় সাতদিনের জন্য ‘বিধিনিষেধ’ শুরু হয়। পরে আরো দুইদিন বাড়িয়ে শেষ হয় ১৩ এপ্রিল। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ ঘোষণা করে সরকার, যা চলে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। পরে ২১ এপ্রিল তারিখ থেকে আরেক দফায় এই বিধিনিষেধ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল করা হয়। এরপর তা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
সুত্র বাংলাদেশ জার্নাল