সোমবার, ১৬ মে ২০২২, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই কিশোরী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিশোরীর মা বাদী হয়ে দুইজন কে আসামী করে ভান্ডারিয়া থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। গ্রেফতাকৃত অভিযুক্ত পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বারেক শরীফের পুত্র সুমন শরীফ (৩৪)। সে দুই সন্তানের জনক। অন্ত:সত্ত্বা ওই মাদরাসা ছাত্রী স্থানীয় ভা-ারিয়া আল গাজ্জালি কামিল মাদ্রাসার আলিম ২ বর্ষের ছাত্রী।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, মেয়ের বাবা দীর্ঘ দিন আসুস্থ্য, ভান্ডারিয়ায় আমি সহ আমার মেয়ের সাথে অভিযুক্ত সুমনের পরিচয় হয়। তখন বিভিন্ন আলাপ আলোচনার একপর্যায়ে সে আমার মেয়েকে ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষনের সুযোগ করে দিবে বলে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে আসতে বলে। কাগজপত্র নিয়ে গেলে সে আমার মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
পরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর উপজেলার কানুদাসকাঠী গ্রামে মনির খলিফার ফাঁকা বাড়ীতে নিয়ে একাধীকবার ধর্ষণ করে। এতে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর মা আরো জানান, তার মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন এবং খাবার দাবারে অনিহা দেখে বিষয়টি পরিবারের সকলের কাছে ধরা পরে। তাই তাকে গত ২৭ এপ্রিল ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে ৪ মাস ১৪ দিনের অন্ত:সত্ত্ব বলে জানান।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, সুমন কম্পিউটার প্রশিক্ষনের জন্য কাগজ পত্র নিয়ে দেখা করতে বলে। আমি কাগজপত্র নিয়ে গেলে সে আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার ফুফাতো ভাইয়ের বাসায় নিয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করে।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাসুমুর রহমান বিশ^াস জানান, এঘটনায় কিশোরীর মা মামলা করেছেন। প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পিরোজপুরে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটি তদান্তধীন রয়েছে।