সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করে খানসামা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তাওহীদুল ইসলাম জানান, নিহত একরামুল হক উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের ঘটু মিয়ার ছেলে। পুলেরহাটসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ফেরি করে ভাঙারি সংগ্রহ ও খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করতেন। গত ১৩ নভেম্বর ২০২২ তারিখে ভুট্টা চাষি মিজানুর রহমান একরামের মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
থানা-পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৩ নভেম্বর একরামুল হকের (৬০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ ‘মাথায় আঘাত’ বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শুরু করে খানসামা থানা-পুলিশ।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামি বাসন্তী রানি শয়নকক্ষের পেছনে একরামুল হকের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে শারীরিক মেলামেশা করতে যান। এ সময় একরামুল সঙ্গে যৌন উত্তেজক ২টি ট্যাবলেট সেবন করেন। কিন্তু একরামুলের পুরুষাঙ্গ প্রস্তুত হচ্ছিল না। তখন একরামুল সঙ্গে নিয়ে যাওয়া একজাতীয় তেল বাসন্তিকে মালিশ করে দিতে বলেন। কিন্তু মালিশের তেলের বিকট গন্ধে বাসন্তী বিরক্ত হন।
এরমধ্য বাসন্তীর ছেলে অনন্ত কুমার রায় হঠাৎ বাড়িতে চলে আসেন। তখন বাসন্তী একরামুল হককে ধাক্কা দিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ধাক্কায় শয়ন ঘরের বাঁশের খুঁটির সঙ্গে মাথায় আঘাত পান একরামুল। এতে মাটিয়ে লুটে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বৃদ্ধ একরামুল। মৃত্যুর বিষয়টি বুঝতে পেরে বাসন্তী ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন এবং ভয়ে কাঁপতে থাকেন। পরে ছেলে অনন্ত কুমার রায়কে সঙ্গে নিয়ে লাশটি বাড়ি থেকে কিছুদূরের পাশের একটি খেতে রেখে আসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, ‘আসামি বাসন্তী ও অনন্ত হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে বিজ্ঞ আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’