রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
ভান্ডারিয়ায় জামরুল গাছ থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার রাজাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভান্ডারিয়ায় অতিরিক্ত টোল আদায় ফেসবুকে স্ট্যাটাসের প্রতিবাদ করায় মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ককে কোপানোর অভিযোগ ভান্ডারিয়ায় জাতীয় পার্টি (জেপি)’র ১০ নেতার পদত্যাগ ভান্ডারিয়ায় জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালিত কাউখালীতে জমি জমা বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত কাউখালীতে ভিজিটি চাল বিতরণে সুবিধা ভোগীদের কাছে থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ভান্ডারিয়ায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও দূর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কমিটির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ভান্ডারিয়ায় ৩ দিন ব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন ভান্ডারিয়ায় ধাওয়া ইউপি সদস্যদের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কাউখালীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্যোগে উপকরণ বিতরণ উপার্জনক্ষম প্রতিবন্ধী মেয়ে খুন! দিশেহারা পরিবার ভান্ডারিয়ার প্রতিবন্ধী যুবতীর হাত-পা-মুখ বাঁধা মরদেহ টঙ্গী থেকে উদ্ধার, বাড়ির মালিক আটক ভান্ডারিয়ায় বিস্ফোরক মামলায় তিন নেতা কারাগারে ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ভান্ডারিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র দেড় ঘণ্টা পর পরীক্ষার্থীর বাড়ি থেকে উদ্ধার! দুই কক্ষ পরিদর্শক বহিস্কার ভান্ডারিয়ায় মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত Best Gender Hookup Websites | FreeHookupsSites
ভান্ডারিয়া স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক

ভান্ডারিয়া স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর অভিযুক্ত মো. ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫) পলাতক রয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি কুঠার ও একটি দাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া গ্রামে নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের ১নম্বর ওয়ার্ডের নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩৫)। অভিযুক্ত মো. ওবায়দুল হক বাদল খান একই এলাকার মৃত আজিজ খানের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদল খানের সাথে চাচাতো বোন চম্পা বেগমের সাথে তিন সপ্তাহ আগে আগে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই চম্পাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন বাদল। চম্পাকে বিবাহের আগেও বাদল আরও তিনটি বিবাহ করেন। তার নির্যাতনে আগের তিন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়।

ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি কুঠার ও একটি দাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত ফরিদা বেগমের বড় মেয়ে খাদিজা বেগম জানান, চাচাতো ভাই বাদলের চম্পার বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ ও শারীরিক নির্যাতন। সোমবার রাতে মা ও বোনকে গলা কেটে হত্যা করে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই সময় ঘরে থাকা বাদলের দ্বিতীয় স্ত্রীর শিশু ছেলে ইয়াসিন ঘর থেকে পালিয়ে পাশের বাড়ির লোকজনকে জানালে তারা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।

প্রতিবেশী নাছিমা বেগম জানান, ইয়াসিন ঘর থেকে পালিয়ে এসে ঘটনা আমাকে জানালে ঘরের মধ্যে গিয়ে দুজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। এ সময় তাদের শরীরে আগুন জ্বলছিল। তখন পানি দিয়ে অগুন নিভিয়ে ফেলি। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারেনি।

পিরোজপুর পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের জানান, তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। প্রকৃত আসামী আমরা সনাক্ত করতে পেরেছি। তাকে অচিরেই আটক করে আইনের আওতায় এনে তার শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন










© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana