শুক্রবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ
আখাউড়ায় ভূমিহীনদের নামে ঘর নির্মাণকাজের প্রতিটি ধাপে অনিয়ম ও নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘরে ভাল ইটের পাশাপাশি নিম্ন মানের ইটও ব্যবহার করা হচ্ছে। আর সঠিক মানের বালুর সাথে নিম্ন মানের বালু মিশিয়ে নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। প্রকল্পের অধীনে নির্মাণাধীন কাজের দেখভাল করছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
খবর নিয়ে জানা যায়, নিম্নমানের ইট, বালু, কাঠসহ ব্যবহার করা হচ্ছে। নিম্নমানের মিঠা ইট ও সাদা ভিটি বালু (এফ এম কম থাকা সাদা বালু) ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজমিস্ত্রীরা জানান ইট ও বালু’র মান ভাল না। অধিকাংশ ইটই নিম্ন মানের। তাহলে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন কেন এ প্রশ্নে জবাবে তারা বলেন স্যার (ইউএনও) যা মাল দিচ্ছে তা দিয়ে আমরা কাজ করছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানাগেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ-২ এর আওতায় এ উপজেলায় ৬৫৩টি ভূমিহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর দেয়া হবে। ইতিমধ্যে ১ম, ২য় ও ৩য় দফায় ৩৬৫টি ভূমিহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দিয়ে একটি করে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে চাবি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকী ২য় দফার ২৯০টি ভূমিহীন পরিবারকে ঘর দেয়ার জন্য ঘরে নির্মাণ চলছে। ২য় ও ৩য় দফা প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ’ টাকা। প্রকল্পের অধীনে নির্মাণাধীন কাজের দেখভাল করছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
এ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ বাস্তবায়নে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা। ঘর নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছেন প্রকল্পের সচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী। তাছাড়াও এ কমিটিতে রয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রকৌশলী ও ইউপি চেয়ারম্যান।
এব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তীকে নিম্ন মানের ইট বালু দিয়ে ঘর নির্মাণ হচ্ছে বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ইউএনও স্যার ভাল জানেন। তার সঙ্গে কথা বলুন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্পের সভাপতি অংগ্যজাই মারমা বলেন, এক নম্বর ইট বালু এনে ঘরের কাজ করা হচ্ছে। অন্যান্য সামগ্রীও ভাল মানের কেনা হয়েছে। মান খারাপ হওয়ার প্রশ্নই উঠে না।