শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ন
কামরুল হাসান মুরাদ:: ঋতু বৈচিত্রের এ বাংলায় বছরের বিভিন্ন সময় বর্ণিল রঙ আর মনমুগ্ধকর সৌন্দর্যে সজ্জিত হয় ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায়। দিগন্ত জোড়া মাঠে সরিষার হলুদ ফুলে কৃষকের স্বপ্ন রঙিন হয়েছে। দুই চোখ যতোদূর যায় শুধু দেখা মিলছে হলুদ রংয়ের। এ যেনো হলুদের সমাহার। চারদিকে সরিষার ক্ষেত যেন বাতাসে দুলছে। আর এ কারনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক। যেমনি সরিষার বাম্পার ফলন তেমনি ফুলের মধু গ্রামীন অর্থনীতিতে সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার বামনকাঠি এলাকায় মাঠজুড়ে সরিষা ক্ষেত। যতদুর চোখ যায় হলুদ গাদা ফুলের ন্যায় সুসাজে সজ্জিত ফসলের মাঠ। ফুলে ফুলে মৌমাছির মন মাতানো গুনগুন সঙ্গীত প্রকৃতি প্রেমীদের মন কেড়ে নেয়। কৃষক অক্রান্ত পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মাটি চষে ফসল ফলায়। কৃষক চাষ শেষে আশায় বুক বেধে চেয়ে থাকে মাঠের পানে।
কৃষকরা জানান, স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষা চাষে অধিক মুনাফা থাকায় কয়েক দফা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জমিতে সরিষার আবাদ করেছে। ধানের দামের দরপতনের কারণে প্রতি বছরই তাদের লোকসান গুণতে হয়। তাই বিকল্প ফসল হিসেবে অন্য ফসলের পাশাপাশি সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সরিষা চাষে সার কম প্রয়োগ করতে হয়। সেচ, কীটনাশক তেমন লাগে না। খরচ কম ও অল্প সময়ে এ ফসল ঘরে তোলা যায়। বর্তমান বাজারে দামও ভাল। বাজারে সরিষার ন্যায্য দাম পাওয়া গেলে আগামীতে সরিষার আবাদ আরও কয়েক গুন বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে চলতি মৌসুমে বারি-১৪ জাতের সরিষা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে মোট ৪৬ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষে করা হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুন। এবারে হেক্টর প্রতি ২০-২২ মণ সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস। সরিষার রোগ দমনে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বছরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে চাষিদের সার, বীজ ও কীটনাশক সহ আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।