মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৩ অপরাহ্ন
গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কিশোরীর চাচা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। শনিবার নড়াইল সদর হাসপাতালে কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ মামলার ১ নম্বর আসামি মুরছালিন মৃধাকে গ্রেফতার করেছে।
লোহাগড়ার জয়পুর ইউপির আড়িয়ারা গ্রামের লাজুক মৃধার ছেলে মুরছালিন মৃধা একই এলাকার ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের ছলনা করে আসছিল। গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাবার বাড়ি থেকে মুরছালিন ফুসলিয়ে ওই কিশোরীকে নিয়ে যায়। ওইদিন রাতেই চাচই-ধানাইড় গ্রামে মজিবর এর ইটভাটার ইটকাটা শ্রমিক মিন্টু এর ঘুমানোর কক্ষে নিয়ে আড়িয়ারা মুরছালিন মৃধা, খায়ের শেখের ছেলে নাছির শেখ, জাকারিয়া মোল্লার ছেলে এনামুল মোল্লা, আজিম খানের ছেলে রাসেল খান পালাক্রমে কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণ করে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে ওই ইটভাটার কাছে কিশোরীকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে চেতনা ফিরে এলে ধর্ষিতা তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে। ওই আত্মীয় বাড়িতে গিয়ে ধর্ষিতার বাবা ও মাকে ঘটনা জানায়। পরবর্তীতে প্রতিবেশী মুরাদ শেখ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে ঘটনা জানালে ধর্ষিতাকে থানায় নিয়ে আসার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। শুক্রবার ধর্ষিতাকে থানায় এনে চাচা বাদী হয়ে ওই চারজনকে আসামি করে মামলা করেন।
লোহাগড়া থানার ওসি (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল-বারী জানান, শনিবার ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ১ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।