সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় চেয়ারম্যানসহ দুই ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত ভান্ডারিয়ায় পেনশন স্কিম মেলা উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে পিরোজপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করেইন্দুরকানীতে শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগারে আগুন জেপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহিবুল হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল পিরোজপুরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঢাকায় গ্রেফতার ভান্ডারিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে, কুপিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাচনে তিন পদে ৬ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল কাউখালীতে গাজার গাছ সহ যুবক গ্রেফতার ভান্ডারিয়ার অটো চালক কাওসারের লাশ কাঠালিয়ায় উদ্ধার কাউখালীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মিশুক ড্রাইভার নিহত ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মিরাজুল ইসলামের মনোনয়নপত্র দাখিল ভান্ডারিয়ায় স্কাউট ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন ভান্ডারিয়ায় পিকআপ চাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু ভান্ডারিয়ার চরখালী ফেরীতে বাসের ধাক্কায় অল্পেরর জন্য রক্ষা পেল অর্ধশত যাত্রীসহ বাস ॥ ৪ টি মোটর সাইকেল নদীতে॥ বাস চালক আটক পিরোজপুরে কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা, বিক্ষোভ-মানববন্ধন কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা কাউখালীতে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরায় তিন জেলেকে কারাদণ্ড পিরোজপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা রাজাপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
‘বিছানায় গেলে ত্রাণ দিবে’ বানারীপাড়ার মিন্টু চেয়ারম্যান

‘বিছানায় গেলে ত্রাণ দিবে’ বানারীপাড়ার মিন্টু চেয়ারম্যান

ত্রাণ পেতে হলে চেয়ারম্যানের শয্যাসঙ্গী হতে হবে, অন্যথায় সবকিছু বাতিল করে দেওয়া হবে। এমনকি ত্রাণ ও স্মার্ট কার্ড আনতে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ারম্যানের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এক নারী। তা আবার ইউনিয়ন পরিষদে আটকে ‘শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে’ হাত দেন চেয়ারম্যান। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার ৫ নং সলিয়াবাকপুর ইউনিয়ন পরিষদে। ত্রাণের বিনিময়ে শারীরীক সর্ম্পক স্থাপনের অভিযোগটাও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মিন্টুর বিরুদ্ধে। বিগত ৪ ও ১৯ মে যথাক্রমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী সুমি আক্তার (ছদ্মনাম)।

তবে সম্প্রতি অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত শুরু হলে প্রকাশ্যে আসে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগটি।

অভিযোগে একই ঘটনার বর্ণানা দিয়ে সুমি (২৯) দাবী করেছেন, তার বাড়ি ওই ইউনিয়নের মহিষাকোঠা গ্রামে এবং তিনি বিবাহিত। ১৪ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদে স্মার্ট কার্ড আনতে গেলে নির্জনে ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মিন্টু তাকে শারীরীক সর্ম্পক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। একইসাথে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত বুলাতে থাকেন। কিন্তু ওই নারী চেয়ারম্যানের সাথে শারীরীক সর্ম্পক স্থাপনে অসম্মতি জানান। এর কিছু দিন পরে করোনা প্রার্দুভাবের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদে ত্রাণ আনতে গেলে চেয়ারম্যান আবারও শারীরীক সর্ম্পক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। এমনকি পূর্বের মত শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিতে থাকেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে-চেয়ারম্যান ওই সময়ে বলেন, যদি তার সাথে শারীরীক সর্ম্পক স্থাপন না করে তাহলে সুমী আক্তারের ত্রাণ বাতিল করে দিবে। আর এই কথা কারও কাছে জানানো যাবে না। যদি ইউএনও বা প্রশাসনিক কাউকে জানানো হয় তাহলে ত্রাণতো দিবেই না বরংছ ‘খুন করে’ ফেলবে। বিষয়টি জানাজানি হলে, ওই নারী ও তার পরিবারকে গ্রামছাড়া করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন মিন্টু চেয়ারম্যান বলে জীবনের নিরাপত্তাও চেয়েছেন ভুক্তভোগী নারী।

অভিযোগের বিষয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন বানারীপাড়া থানা পুলিশ। থানার ওসি (তদন্ত) জাফর জানান, পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তদন্তের ভার পেয়ে আমি কাজ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে অভিযোগকারীর বক্তব্য গ্রহণ করেছি। উল্লেখিত ঘটনার সার্বিক খোঁজ-খবর নিচ্ছি। যেহেতু অভিযোগটি তদন্তাধীন তাই এখনই বলা যাচ্ছে না চেয়ারম্যান নির্দোষ বা দোষী।

এই কর্মকর্তা বলেন, কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের কর্তব্য। বানারীপাড়া থানা পুলিশ তার ব্যত্যয় করার প্রশ্নই আসে না।

অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মিন্টু বলেন, যিনি অভিযোগ করেছেন তাকে আমি চিনিও না। তার সাথে আমার মোবাইলে কথা হয়েছে এমন প্রমান কেউ দিতে পারলে সমস্ত শাস্তি মেনে নিব। মূলত ওই নারী ১০ টাকা কার্ডের চাল পায়। তারপরও সে ত্রাণ চেয়েছে। আমি বলেছি, যেহেতু সরকারী একটি সুবিধা পাচ্ছে সেহেতু ত্রাণ তাকে দেওয়া হবে না। সেই ক্ষোভে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।

এই চেয়ারম্যান আরও দাবী করেন, ইউনিয়নের পরাজিত এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমানে পদপ্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন এমন একজন প্রার্থী মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করাচ্ছে।

অভিযোগকারী নারী জানিয়েছেন, অভিযোগ দাখিলের পর চেয়ারম্যান বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। চেয়ারম্যান আমাকে বলেছে, তার দুটি মার্ডার করা আছে। আমাকে (ভুক্তভোগী নারী) মার্ডার করে তিনি তিনটি পূরণ করবেন।

 

সুত্র বরিশাল ট্রিবিউন

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana
error: Content is protected !!