সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৮ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
শেখ হাসিনার ক্ষমতা শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি- শামীম সাঈদী ‎পিরোজপুরে কোটি টাকার মাদকসহ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ভাণ্ডারিয়ায় নুরুল ইসলাম মনজুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প কাউখালীতে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুইজন গুরুতর আহত পিরোজপুরে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন ভাণ্ডারিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুইজন আটক মাদকসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার কাউখালীতে নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসার সুপার দেলোয়ার হোসাইন এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ ভাণ্ডারিয়ায় ওয়াল্ড ভিশনের শিশু শ্রম ও শিশুবিবাহমুক্ত উপজেলা গঠনে অগ্রগতি ও পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত ইন্দুরকানী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পানি শোধনাগার আড়াই মাস বন্ধ! তথ্য চাইলে সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ কাউখালীতে নাশকতার মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার কাউখালীতে দুইটি ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের এজলাস স্থাপনা করা হয়েছে পিরোজপুরে জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম খানকে বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন ইন্দুরকানীতে প্রেমিকের আশ্বাসে ধর্ম পরিবর্তন, ৯ দিনের অনশনের পর সম্পন্ন হলো বিয়ে ভান্ডারিয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো ১৬২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি ভাণ্ডারিয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভান্ডারিয়ায় বনজীবিদের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত ভাণ্ডারিয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কাউখালীতে পাঁচ দিনব্যাপী রাস উৎসব শুরু পিরোজপুর-০২ আসনে আহমেদ সোহেল মনজুর সুমন পেলেন ধানের শীষ প্রতীক কাউখালীতে পিঁয়াজের কেজি ৯০ টাকা
পিলখানা হত্যাযজ্ঞ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় আজ

পিলখানা হত্যাযজ্ঞ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় আজ

বিডিআর বিদ্রোহের সময় পিলখানায় সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের মামলায় প্রায় দুই বছর আগে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করলেও পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়নি। আজ মঙ্গলবার এই রায় প্রকাশিত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় লেখা সম্পন্ন হয়েছে। এ রায় ২৯ হাজার পৃষ্ঠার ওপরে বলে জানা গেছে। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বৃহত্তর বেঞ্চের ওই তিন বিচারপতির আজ সকালে রায়ে স্বাক্ষর করার পর তা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।

এই রায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে ছয় বছর আগে, ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় অনুমোদন প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হবে।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জানা গেছে, প্রথমে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি মো. শওকত হোসেন মূল রায় লেখেন। তিনি প্রায় সাড়ে ১১ হাজার পৃষ্ঠার রায় লিখে বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতির কাছে পাঠান। এরপর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী পৃথকভাবে তাঁর অংশ লিখেছেন। তিনি লিখেছেন প্রায় ১৬ হাজার পৃষ্ঠা। এরপর বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার লিখেছেন এক হাজার ১০০ পৃষ্ঠা। এই তিনজনের লেখা রায় একত্র করে তা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আসামির ফাঁসির আদেশ সংবলিত পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে।

নিয়ম অনুযায়ী হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় প্রকাশের পর আপিল বিভাগে আপিল করতে পারবে উভয় পক্ষই। এরপর আপিলের বিচারের মধ্য দিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হবে। যদিও এরপর রিভিউ আবেদন করার সুযোগ থাকবে। রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করা ছাড়া আর কোনো সুযোগ থাকবে না। এই নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কারণে ‘বিডিআর’ নামটি পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস সদর দপ্তরে সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনায় ওই বছরের ৪ মার্চ লালবাগ থানার ওসি নবজ্যোতি খীসা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি ৭ এপ্রিল নিউ মার্কেট থানায় স্থানান্তর হয়। মামলায় নাম উল্লেখ করে আসমি করা হয় ডিএডি তৌহিদসহ ছয়জনকে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি দেখানো হয় প্রায় এক হাজার জোয়ানকে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১২ জুলাই হত্যা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেয়। হত্যা মামলায় ৮২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে ৮০১ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। হত্যা মামলায় বিচার শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর নিম্ন আদালত রায় দেন। সে সময়কার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আক্তারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্টের বিচারপতি) এ মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ২৭৮ জনকে বেকসুর খালাস দেন। এরপর নিম্ন আদালত থেকে ফাঁসির আসামিদের সাজা অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। আর কারাবন্দি আসামিরাও আপিল করেন।

এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও আপিল করা হয়। সব আবেদনের শুনানির পর বিচার শেষে হাইকোর্ট রায় দেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন










© All rights reserved © 2025 pirojpursomoy.com
Design By Rana