শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কাউখালীতে অবৈধভাবে দখলকৃত সরকারি জায়গা উদ্ধার করল উপজেলা প্রশাসন কাউখালীতে নাশকতায় মামলায় জামায়েত সেক্রেটারিসহ ৪জন গ্রেফতার কটুক্তির প্রতিবাদে পিরোজপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তানদের মানববন্ধন কাউখালী গাঁজা সহ এক ঔষধ ব্যবসায়ী গ্রেফতার মারা গেছেন ছারছীনার পীর কাউখালীতে বিআরডিবি অফিসের জনবল সংকট, কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভুক্তভোগী জনগণ কাউখালীতে ৪০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক কাউখালীতে কৃষকদের মাঝে ফলের চারা বিতরণ বালু বোঝাই বাল্ক‌হেডের ধাক্কায় ব্রিজ ভে‌ঙে খা‌লে এক বছরেও পুণ:নির্মাণ হয়নি নাজিরপুরে যে কারনে মাকে কুপিয়ে হত্যা করলো ছেলে ৯ বছরের সাজার জন্য ৩৫ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না স্কুল ছাত্রী অপহরণের ৩৩ দিন হলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি কাউখালীতে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলাম শিক্ষার ক্লাস নিচ্ছেন হিন্দু শিক্ষক পিরোজপুরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে বিশেষ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন কাউখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে দেখা গেল সাপ কাউখালী উপজেলা অস্থায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই চিকিৎসক নেই বেড, রোগীদের দুর্ভোগ চরমে কাউখালীতে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে হাইজিন কিট বিতরন পিরোজপুরে দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অথের্র চেক বিতরণ কাউখালীতে জমি জমা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪, গ্রেপ্তার ৪ নেছারাবাদে রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা প্রদান
পিলখানা হত্যাযজ্ঞ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় আজ

পিলখানা হত্যাযজ্ঞ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় আজ

বিডিআর বিদ্রোহের সময় পিলখানায় সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের মামলায় প্রায় দুই বছর আগে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করলেও পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়নি। আজ মঙ্গলবার এই রায় প্রকাশিত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় লেখা সম্পন্ন হয়েছে। এ রায় ২৯ হাজার পৃষ্ঠার ওপরে বলে জানা গেছে। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বৃহত্তর বেঞ্চের ওই তিন বিচারপতির আজ সকালে রায়ে স্বাক্ষর করার পর তা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।

এই রায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে ছয় বছর আগে, ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় অনুমোদন প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হবে।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জানা গেছে, প্রথমে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি মো. শওকত হোসেন মূল রায় লেখেন। তিনি প্রায় সাড়ে ১১ হাজার পৃষ্ঠার রায় লিখে বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতির কাছে পাঠান। এরপর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী পৃথকভাবে তাঁর অংশ লিখেছেন। তিনি লিখেছেন প্রায় ১৬ হাজার পৃষ্ঠা। এরপর বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার লিখেছেন এক হাজার ১০০ পৃষ্ঠা। এই তিনজনের লেখা রায় একত্র করে তা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আসামির ফাঁসির আদেশ সংবলিত পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে।

নিয়ম অনুযায়ী হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় প্রকাশের পর আপিল বিভাগে আপিল করতে পারবে উভয় পক্ষই। এরপর আপিলের বিচারের মধ্য দিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হবে। যদিও এরপর রিভিউ আবেদন করার সুযোগ থাকবে। রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করা ছাড়া আর কোনো সুযোগ থাকবে না। এই নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কারণে ‘বিডিআর’ নামটি পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস সদর দপ্তরে সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনায় ওই বছরের ৪ মার্চ লালবাগ থানার ওসি নবজ্যোতি খীসা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি ৭ এপ্রিল নিউ মার্কেট থানায় স্থানান্তর হয়। মামলায় নাম উল্লেখ করে আসমি করা হয় ডিএডি তৌহিদসহ ছয়জনকে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি দেখানো হয় প্রায় এক হাজার জোয়ানকে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১২ জুলাই হত্যা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেয়। হত্যা মামলায় ৮২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে ৮০১ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। হত্যা মামলায় বিচার শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর নিম্ন আদালত রায় দেন। সে সময়কার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আক্তারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্টের বিচারপতি) এ মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ২৭৮ জনকে বেকসুর খালাস দেন। এরপর নিম্ন আদালত থেকে ফাঁসির আসামিদের সাজা অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। আর কারাবন্দি আসামিরাও আপিল করেন।

এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও আপিল করা হয়। সব আবেদনের শুনানির পর বিচার শেষে হাইকোর্ট রায় দেন।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana
error: Content is protected !!