সুবীর সিকদার
আমার ভাগ্যে হয়নি- সেই মহান মানুষটিকে দেখা,
জন্মে ছিল টুঙ্গীপাড়ায়, নামটি ছিল খোকা।
১৯২০ সালে জন্ম তাঁর, শেখ লুৎফর রহমানের ঘরে,
তিলে-তিলে বেড়ে উঠল মায়ের কোল জুড়ে।
মায়ের নাম শেখ সায়েরা খাতুন, রত্নগর্ভা সে,
ধন্য এই বাংলার মানুষ, শেখ মুজিবকে পেয়ে ।
১৯৪২ সালে এস,এস,সি পাশ, মিশনারি স্কুল দিয়ে,
তখন থেকেই ভাবতেন তিনি, এই পরাধীন দেশটা নিয়ে।
কেমন করে মুক্ত করবে, জন্ম ভূমির এই মাটি!
পাকিস্তানিরা খাচ্ছে লুটে, করে পরিপাটি।
১৯৪৪ সালে উঠে পরে লাগে, দেশের মুক্তির জন্য,
নিজকে নিয়ে ভাবেনি কখনো, জীবন করেনি গন্য।
কত যন্ত্রণা সহ্য করেছে, তবু হঁটেনি কভু পিছু,
এ দেশের মানুষের জন্য করতে হবে কিছু!
৫২-এ ভাষার জন্য অনশন করল কারাগারে,
আর কতটা সহ্য করবে, জলছে ভিষণ খাড়ে।
৬৬ সালে মুক্তির প্রস্তাব, ৬ দফা করলো পেশ,
শত্রুরা এবার সরযন্ত্র করল, করবে বাঙ্গালি শেষ।
৬৯-এ ডাকসুর ভিপি উপাধি দিলেন বঙ্গবন্ধু ছেলে-
জাতীসংঘ খেতাব দিলেন বিশ্ববন্ধু বলে।
৭১-এর কালো রাতে ছুরল গুলি, ঘুমন্ত জনতার বুকে,
দামাল ছেলেরা থেমে থাকেনি দাঁড়াল এবার রুখে।
মোরা হারিয়েছি স্বজন, বোনের সম্ভ্রম, সবই হল শেষ,
হারাইনি সেই অমূল্য সম্পদ, স্বাধীন সোনার বাংলাদেশ।
১৬ ই ডিসেম্বর মূক্ত হল, পাকিস্তানি শত্রুর কবল থেকে,
কত কারাবাস, কত লাঞ্চণা সয়ে, মুক্ত করেছ তাকে।
আজি স্মরণ করি শ্রদ্ধা ভড়ে মুজিব তোমার নাম,
তোমায় বিনে সোনার বাংলা, কভু না পেতাম।
এই বাংলার আকাশ-বাতাস, এই বাংলার জমি,
জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু, তোমার তুলনা তুমি।
মুক্ত করেছ সোনার বাংলা, এতেই তোমার সুখ,
আমরা তোমায় পাইনি বলে, ব্যাথায় ভড়ে বুক।
৭৫ সালে বাংলার মাটিকে করল কালিমা লিপ্ত,
দেশের মাটিতে হায়নার মত শত্রু ছিল গুপ্ত।
তোমার মত সোনার মানুষ আর পাবেনা জাতী,
কেমন করে পুশবে বলো এত বড় ক্ষতি।